আওয়ার ইসলাম: আগামী জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের পক্ষে মত দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা।
তবে এ মত তার একান্তই তার নিজের বলে জানিয়েছেন তিনি। আর সেনা মোতায়েন হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত পুরো নির্বাচন কমিশনের।
রোবাবার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাজ করবে। কিন্তু সেনাবাহিনী থাকবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে। তাই চাইলেই সেনাবাহিনীকে নির্বাচনের সময় কমিশন মোতায়েন করতে পারবে না।
আসন্ন গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি প্রসঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হওয়া উচিত জানিয়ে সিইসি বলেন, বিগত জাতীয় নির্বাচনগুলোতে সেনা মোতোয়েন করা হয়েছিল। তবে এটা একার সিদ্ধান্তের বিষয় নয়। ইসির আরো পাঁচজন সদস্য মিলে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এ সময় প্রবাসীদের ভোটাধিকার বিষয়ে কে এম নুরুল হুদা বলেন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে কমিশন ব্যবস্থা নেবে।
অনুষ্ঠানে সিইসি ছাড়াও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে কথা বলেন।
আর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেছেন, সারাবিশ্বে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে থাকেন। তাহলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও এমপি’রা কেন পারবেন না? এ বিষয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বসবো।
‘আমরা আশাবাদী সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে’