আবদুল্লাহ তামিম: ব্রিটেনে বসবাসরত মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষ উসকে দিতে লিভ ডট ইইউ নামে একটি অনলাইন এক্টিভিটিস্ট গ্রুপ টুইটারসহ বিভিন্ন স্যোশাল মিডিয়ায় মসজিদ-গির্জা বিতর্ক ছড়িয়ে দিয়েছে।
গ্রুপটি এক টুইটে দাবি করেছে, লন্ডনে ৪২৩টি নতুন মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে এবং ৫০০ গির্জা বন্ধ করা হয়েছে। তবে বিভিন্ন মহল থেকে তাদের এ দাবির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় গ্রুপটি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। পরে অবশ্য তারা তাদের একাউন্ট থেকে টুইট বার্তাটি মুছে ফেলে।
লিভ ডট ইইউ গ্রুপটি ব্রিটেনের রাজধানীর নাম ‘লন্ডনিস্তান’ দিয়ে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত লন্ডনের মেয়র সাদিক খানের একটি ছবিও আপলোড করে। তাদের এ আচরণে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা ফুটে উঠেছে বলে দাবি করেছেন বিশিষ্টজনরা।
ব্রিটেনের বিরোধী দলের এক এমপি ওয়েস স্ট্রেটিং টুইট বার্তাটির তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি ব্রিটেনের ইসলাম সংক্রান্ত একটি সংসদীয় কমিটির সহসভাপতি।
লেবার এমপি ওয়েস স্ট্রেটিং বলেছেন, এধরনের একটি টুইট ‘বর্ণবাদী রাজনীতি ছাড়া আর কিছুই নয়।’ তিনি বলেন, এসব টুইটের সাথে ইউরোপিয়ান গণভোটের কোনো সম্পর্ক নেই।
এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীকে নোয়াখালীতে অবাঞ্ছিত করতে মিছিল
তিনি অভিযোগ করেন, এ গ্রুপটি আগুন নিয়ে খেলছে। বলেছেন, ‘এ টুইট যারা পশ্চিমের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ায় তাদের জন্যে একটি উপহার।’
টুইট বার্তায় যে তথ্য দিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে তার মৌলিক কোনো ভিত্তি পাওয়া যায়নি। বিশেষ করে গির্জা বন্ধের বিষয়টি একদমই উদ্দেশ্যপূর্ণ বলে দাবি করেছেন বিভিন্নজন। কারণ, গির্জা বন্ধের কোনো সময়কাল কোথাও দেয়া নেই। কিছু গবেষণায় বিষয়টি উঠে এলেও সব তথ্য পরিস্কার নয়।
আর নতুন মসজিদ নির্মাণের বিষয়টি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। ব্রিটেনে জনসংখ্যার হার অনুপাতে যেমন স্থানীয় মুসলিমদের সংখ্যা বাড়ছে তেমনি মুসলিম পর্যটকদের সংখ্যাও দিনদিন বাড়ছে।
প্রয়োজনের তাগিদেই বিভিন্ন জায়গায় ছোটবড় মসজিদ ও না্মাযের স্থান বানানো হয়েছে। অপরদিকে ব্রিয়ারলি কনসালটেন্সি নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বলছে, ২০০৫ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে লন্ডনে ৭০০টি নতুন গির্জাও চালু হয়েছে। সুতরাং এবিষয়টি নিয়ে বিতর্ক করার কোনো যৌক্তিকতা নেই বলে দাবি করেছেন বিশিষ্ট লেখক-বুদ্ধিজীবিগণ।
সূত্র: বিবিসি. আরটিএনএন
আরো পড়ুন : প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছের উপর আটকে আছে বেগম জিয়ার কারামুক্তি