আওয়ার ইসলাম: বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার অভিযোগ করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছের উপর আটকে আছে বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তি।
তার ইচ্ছের কারণেই বেগম খালেদা জিয়া আজকে জেলে। তার সাজা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত তিনি মুক্ত হতে পারছেন না। টিভিএন-এর নিজস্ব স্টুডিওতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছে-অনিচ্ছার বিরাট একটা ইনফ্লুয়েন্স কাজ করে।
তিনি আরও বলেন, জিয়া অরফানেস ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার ৫ বছরের সাজা হয়েছে। একজন প্র্যাক্টিসিং ল’ইয়ার হিসেবে জানি, সাধারণত ৫ বছরের সাজার জামিন পাই। এতে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় না। আমাদের প্র্যাক্টিসে একটা হলো আইন, অন্যটি হচ্ছে নজির। হাইকোর্ট জামিন দেওয়ার পর অ্যাপিলেড ডিভিশন জামিন আটকে দেওয়ার কোনো নজির এখনো পর্যন্ত আমাদের এখানে নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে বিএনপি সমঝোতা করে চলবে তা আমি বিশ্বাস করি না। বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী এখানে এসেছে।
তিনি ম্যাডামের মুক্তির বিষয়ে কোথাও কোনো আলোচনা করেছে কিনা জানি না। তবে রাজনৈতিক আলোচনা হতে পারে। এ ধরনের আলোচনা যে লেভেলে হয়, সেই লেভেলে আমার অবস্থান নেই। এ বিষয়ে দলের স্থায়ী কমিটি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভালো বলতে পারবেন। এ ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।
নির্বাচনের আগে বেগম জিয়ার কারামুক্তি না হলে কী হবে তা স্থায়ী কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। তবে বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বলে আমি বিশ্বাস করি। তাকে ছাড়া বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া মোটেও উচিত হবে না। বেগম জিয়াকে কারাগারে রেখে বিএনপি নির্বাচনে যাবে এমনটি আমি কখনো সমর্থন করি না, করবও না।
তিনি বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে অনেক কথা বলা যাবে। কিন্তু বিএনপি গণতন্ত্র হত্যা করেছে, বিএনপির শাসনামলে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ছিল না, এই অভিযোগ বিএনপির বিরুদ্ধে আনা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার নিন্দা করি। কোনোভাবেই কাক্সিক্ষত নয় যে, বিরোধী দলের নেত্রী মিটিং করবেন, তাকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে। এটা কোনো সুস্থ চিন্তার মানুষ চিন্তা করতে পারে না।
বিরোধী দলের নেত্রীর ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়েছিলেন বলে যে মন্তব্য তখন করা হয়েছিল, তা ছিল কথার কথা। এরকম ঘটনা তো নারায়গঞ্জেও ঘটেছিল, ২২ জন লোক মারা গিয়েছিল বোমা হামলায়, সেখানে তো বিএনপির নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছিল।
বিএনপি কিন্তু আওয়ামী লীগের কাউকে আসামি করেনি বোমা হামলার ঘটনায়। ফলে এসব নিয়ে রাজনীতি না করাই ভালো।
আরো পড়ুন- দাওরায়ে হাদিস মডেল টেস্ট-৩