কাউসার লাবীব
আওয়ার ইসলাম
রাজধানীর প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরামের ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও সাধারণ সভা।
আজ শুক্রবার বাদ জুমা এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শেষ হয় রাত সাড়ে আটটায়।
ফোরামের ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী এ সম্মেলনে স্বপ্নচারী লেখক মাওলানা মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন বলেন, বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরামকে প্রশস্ত মন নিয়ে কাজ করতে হবে। তারা যেহেতু একটি পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে, এখন তাদের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। আমি আশা করবো তারা মানুষের মন পড়ে কাজ করবে।
লেখক, সাংবাদিক মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ বলেন, কালের পবির্তনে এখন সংবাদের গদ্য চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। পাঠকের চাহিদাও অর্জন করেছে অনেক। তাই যারা আমরা এখন লেখালেখি করি, আমাদের গদ্যকে সেভাবেই শাণিত করতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরাম একটি অনন্য প্লাটফর্ম। এ ফোরামের ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীকে আমি ৫০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর মতো সম্মান করছি। আমি আশা করবো এর পথচলা দীর্ঘ হবে বহুকাল।
বিশিষ্ট নজরুল গবেষক, কবি মহিউদ্দিন আকবর বলেন, আমি বেশ কয়েকটি প্রোগ্রাম ফেলে এ প্রোগ্রামে উপস্থিত হয়েছি। এর কারণ ছিল আমার প্রিয় মানুষদের মূল্যবান কথা শোনা। আমি এ অনুষ্ঠানে এসে অমূল্য বক্তব্য শুনে মুগ্ধ হয়েছি।
যুক্তরাজ্যে ‘লাভ অ্যা মুসলিম ডে’র মাধ্যমে ইসলামবিদ্বেষ কতটা কাটানো সম্ভব?
আওয়ার ইসলাম পরিচালিত বাংলা সাহিত্য সাংবাদিকতা বিভাগের মুশরিফ, লেখক, গবেষক ও ভাষাবিদ মাওলানা আইয়ুব বিন মঈন বলেন, বাংলাদেশ লেখক ফোরাম প্রতিষ্ঠা হয়েছিল লেখকদের একটি মর্যাদাশীল জায়গায় দাঁড় করানোর প্রচেষ্টায়।
তাই আমি ফোরামের দায়িত্বশীলদের বলবো, অনেক লেখক প্রকাশনীর কাছ থেকে আবার অনেক প্রকাশনী লেখকদের কাছ থেকে অযাচিত অবস্থার শিকার হন। বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরাম ‘লেখক’ ও ‘প্রকাশকদের মাঝে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে কাজ করে উভয় পক্ষকেই যথাযথ কাজে সহযোগিতা করতে পারে।
এছাড়াও তিনি ফোরামের দিকনির্দেশনা সরূপ বেশ কয়েকটি প্রস্তাব তুলে ধরেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, লেখক গবেষক ড. মুফতি গোলাম রাব্বানী বলেন, আমি লেখক ফোরামের কাছে প্রত্যাশা করবো, তারা অচিরেই লেখকদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদানের মতো একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। তবে তা হতে হবে অবশ্যই মানসম্পন্ন। সম্মাননা দেওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন ও যত্নশীল হতে হবে।
লেখক ফোরামের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি মুফতি এনায়েতুল্লাহ বলেন, আমাদের কাজ ও চিন্তাকে বড় করতে হবে। আমরা যেন নিজের কাজ ভুলে অন্যের সমালোচনা নিয়ে লিপ্ত থেকে মূল্যবান সময় নষ্ট না করি।
আওয়ার ইসলামের সম্পাদক লেখক সাংবাদিক মুফতি হুমায়ুন আইয়ুব বলেন, লেখালেখি আমাদের অন্যতম একটি ইবাদত। আমি আমার এ কলমের আচড়কে শুধুই ইবাদত মনে করি।এটি আমার জায়নামাজ। এর অসিলায় আমি পরকালে নাজাত পেতে চাই।
লেখক ফোরামের সবকাজে ইতোপুর্বেও একমত ছিলাম। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে একতায় থাকবো। ফোরামের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করছি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরামের সভাপতি লেখক ও সাংবাদিক জহির উদ্দিন বাবর আশা-প্রত্যাশা, ত্যাগ ও সম্ভাবনার বিভিন্ন কথা তুলে ধরেন।
সাধারণ সম্পাদক কবি মুনীরুল ইসলাম দীর্ঘ একবছরের আয়-ব্যয়ের হিসেব সংক্ষেপে সবার সামনে তুলে ধরেন।
৫ম বার্ষিকী এ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সহসভাপতি মাওলানা মুসলেহুদ্দীন রাজু, আওয়ার ইসলামের প্রধান সম্পাদক মুফতি আমিমুল ইহসান, আম্বর শাহ জামে মসজিদের খতিব মুফতি মাজহারুল ইসলাম, আরবি সাহিত্যিক মহিউদ্দীন ফারুকী, তরুণ আলেম ও ওয়ায়েজ মুফতি সামসুদ্দোহা আশরাফী, কিশোরস্বপ্ন নির্বাহী সম্পাদক জিয়াউল আশরাফসহ অনেকে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরামের সহসভাপতি মাসউদুল কাদির, গাজী মুহাম্মদ সানাউল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক কবি মুনীরুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুমিন এবং প্রচার ও দফতর সম্পাদক ওমর ফারুক মজুমদার।
অনুষ্ঠানে দেয়া মাওলানা শরীফ মুহাম্মদের পুরো বক্তব্য শুনতে নিচের ভিডিওতে ক্লিক করুন। অনুষ্ঠানের অন্যান্য বক্তব্যও আওয়ার ইসলাম টিভিতে পর্যায়ক্রমে পাওয়া যাবে ইনশাল্লাহ।