আওয়ার ইসলাম: যার নিয়ত যতো স্বচ্ছ, তার আমলের পাল্লা ততো ভারী। কাজেই প্রত্যেক কাজে নিয়ত শুদ্ধ রেখে স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন করতে হবে। তবেই দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ সাধিত হবে।
পীরে কামেল মুফতি রুহুল আমীন শনিবার গওহরডাঙ্গা মাদরাসার খতমে বুখারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে একথা বলেন।
গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মহাপরিচালক মুফতি রুহুল আমীন বক্তব্যে আরও বলেন, ইমাম বুখারি রহ. তার কিতাব সহিহ বুখারি শরিফের শুরুতে নিয়ত পরিশুদ্ধতার হাদিস এনেছেন। এ বিষয়ের হাদিস দিয়ে কিতাব শুরু করে মুসলিম জাতিকে কাজ শুরু আগে নিয়ত পরিশুদ্ধ করার শিক্ষা দিয়েছেন।
বস্তুত নিয়তের পরিশুদ্ধতা আমলের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনুরূপভাবে ইমাম বুখারি রহ. কিতাবে বিভিন্ন বাতিল মতবাদ সম্পর্কে উম্মতকে সতর্ক করেছেন। আমাদেরও বাতিল মতবাদ সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে এবং জনগণকে সচেতন করতে হবে।
এভাবেই ইমাম বুখারি রহ. বুখারি শরিফের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মুসলিম উম্মাহর দৈনন্দিন কাজে পরিশুদ্ধতার আহবান জানিয়েছেন। মনে রাখতে হবে, কাজের পরিশুদ্ধতার পাশাপাশি আত্মার পরিশুদ্ধিও আমাদের দরকার।
মুফতি রুহুল আমীন আরও বলেন, হাদিসের দরসে বসে যেমন নিজের শায়েখের থেকে হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে হাদিসের সম্পর্ক স্থাপন করা হয়, তেমনিভাবে নিজের আত্মশুদ্ধির জন্য কোনো পীরের হাতে বায়াত গ্রহণ করে হুজুর পর্যন্ত আধ্যাত্মিক সম্পর্ক স্থাপন করতে হয়।
হজরত সদর সাহেব হুজুর রহ. হাদিসের ইলম অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে শুকনো রুটি সম্বল করে সাহারানপুর থেকে থানাভবন পায়ে হেঁটে যেয়ে হাকিমুল উম্মত হজরত আশরাফ আলী থানভি রহ.-এর হাতে বায়াত গ্রহণ করে আত্মশুদ্ধি অর্জন করে খেলাফাত লাভ করেন এবং আত্মশুদ্ধির কাজে আত্মনিয়োগ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত মাদরাসার দাতা সদস্যদের উদ্দেশে মুফতি রুহুল আমীন বলেন, হজরত সদর সাহেব হুজুর রহ. তাকওয়ার ওপর গওহরডাঙ্গা মাদরাসার ভিত্তি স্থাপন করেন সুতরাং আমরা যারা দান করবো আমাদের নিয়ত শুদ্ধ করে একমাত্র আল্লাহকে রাজি-খুশি করার জন্য দান করতে হবে।
নতুন কিছু দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, মাদরাসার শায়খুল হাদিস মুফতি আবদুর রউফ, শিক্ষা পরিচালক মুফতি নুরুল ইসলাম, গওহরডাঙ্গা শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব মাওলানা শামছুল হক, সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা ফরিদ আহমদ ও মুফতি উসামা আমীন।
খতমে বুখারি অনুষ্ঠানে দক্ষিণবঙ্গের শীর্ষ আলেম-উলামা, পীর-মাশায়েখ ও মাদরাসার মুহতামিমরা উপস্থিত ছিলেন।
রসুলপুর মাদরাসার খতমে বুখারি ৬ এপ্রিল; আসছেন দেওবন্দের মুহাদ্দিস