আওয়ার ইসলাম : খোদ পোপ ফ্রান্সিস ‘নরকের অস্তিত্ব নেই’ বলে মন্তব্য করায় রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে ভ্যাটিকান।
এ ব্যাপারে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘পোপের মন্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। তাঁর বক্তব্যের অপব্যাখ্যা করা হয়েছে।’’
দৈনিক ‘লা রিপাবলিকা’ নামের একটি সংবাদ পত্রে সাক্ষাৎকারে ‘দুষ্ট আত্মারা যায় কোথায়?’’, এমন প্রশ্নের জবাবে পোপ ফ্রান্সিস বলেন, ‘‘তাদের কোনও শাস্তি হয় না। যারা নিজেদের ভুলভ্রান্তির জন্য অনুতপ্ত হন, ঈশ্বর তাদের ক্ষমা করেন।
পোপ বলেন, মৃত্যুর পর তাদের জায়গা হয় সেখানেই, যেখানে ঠাঁই পায় সেই সব আত্মা, যারা বরাবর ঈশ্বরকে মেনে চলেছে। আর যারা অনুতপ্ত হন না, ঈশ্বর তাদের ক্ষমাও করেন না। তারা হারিয়ে যায়। নরকের কোনও অস্তিত্ব নেই। কিন্তু পাপী আত্মারা যে উধাও হয়ে যায়, সেটা বাস্তব।’’
তবে পোপ ফ্রান্সিসের মন্তব্য বিকৃত করার অভিযোগ এর আগেও তুলেছিল ভ্যাটিকান।
নরক নিয়ে অবশ্য এর আগেও পরস্পরবিরোধী মন্তব্য করেছেন ভ্যাটিকানের পূর্বতন দুই পোপ। পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট ও পোপ দ্বিতীয় জন পল।
২০০৭ সালে পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট বলেছিলেন, ‘‘সত্যি সত্যিই নরক রয়েছে।’’ যদিও ১৯৯৯ সালে পোপ দ্বিতীয় জন পল মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘নরক কোনও আলাদা জায়গা নয়। পাপের পরিণতিই নরক।’’
এর আগে বিতর্কিত মন্তব্য করার আরও কয়েকটি নজির আছে পোপ ফ্রান্সিসের।
২০১৩ সালে বলেছিলেন, ‘‘যদি কোনও সমকামী ঈশ্বরকে চান, পেতেই পারেন। আমি বাধা দেওয়ার কে?’’
২০১৫ সালে ক্যাথলিক চার্চ নিয়ে পোপ ফ্রান্সিসের মন্তব্য ছিল, ‘‘আমার তো ক্যাথলিক চার্চগুলিকে অনেক সময়েই হাসপাতাল বলে মনে হয়। যত ক্ষতবিক্ষত মানুষের ভিড় সেখানে।’’ - আনন্দবাজার পত্রিকা