হাওলাদার জহিরুল ইসলাম: ভারতে নিষিদ্ধ সংগঠন স্টুডেন্স ইসলামিক মুভমেন্ট অব ইন্ডিয়া (সিমি) এর সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার ৫ মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে প্রশাসনের হাতে যথেষ্ট প্রমাণাদি না থাকায় মুক্তি দেয়া হয়েছে।
এ অভিযুক্তদের ওপর পুলিশ বরাবরের মতো নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকাসহ নানা অভিযোগ দায়ের করে আসছিলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা নির্ভরযোগ্য প্রমাণাদি পেশ করতে পারেন নি।
এ যুবকদের শুরু থেকে আইনি সহায়তা দিয়ে আসছিলো ভারতীয় মুসলিমদের সামাজিক সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের আইন বিষয়ক সহায়তা কমিটি।
জমিয়ত সভাপতি মাওলানা সাইয়িদ আরশাদ মাদানি এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, দেরিতে হলেও মাজলুমদের ইনসাফ মিলেছে। এ রায়ের মাধ্যমে আদালতের প্রতি আমাদের আস্থা মজুবত হলো।
আমরা মনে করি, রাষ্ট্রের কিছু মানুষ অসহায়, নির্দোষদের সাথে বে-ইনসাফি করলেও আদালত ন্যায়ের পক্ষে ফায়সালা করে থাকেন।
মাওলানা মাদানি আরো বলেন, এ ব্যাপারে আমি খুবই মর্মাহত যে এ যুবকদের ন্যায় বিচার পেতে দীর্ঘ ১৬ বছর সময় লেগে গেল । অথচ ১৬ বছরে এক জেনারেশন যুবকে পরিণত হয়। এতো দীর্ঘ সময় যে কোনো ব্যক্তির জীবন ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট।
তাই আমি মনে করি আমাদের এ ইনসাফ অসম্পূর্ণ থেকে যাবে যদি সেসব রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের উপযুক্ত শাস্তি না হবে যাদের খামখেয়ালির কারণে এ যুবকদেরকে বিনা দোষে ১৬ বছরের দু:সহ জেলজীবন অতিবাহিত করতে হয়েছে। কেননা, এ যুবকরা যা হারিয়েছে তা আর ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের অক্টোবরে ভারতের মধ্যপ্রদেশের জাবালপুরের পুলিশ সিমির সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে আনিস আহমদ, মুহাম্মদ আলী, মুহাম্মদ ইউনুস খাজা বখশ, সুলতান আহমদ ও গিয়াসুদ্দীন নামে ৫ যুবককে গ্রেফতার করে।
জমিয়তের আইনি সহায়তা কমিটির ভাষ্য মতে, ভারতের বিভিন্ন জেলে বিশেষত মধ্য প্রদেশে অনেক মুসলিম যুবক বিনা দোষে জেল কাটাচ্ছেন।
সূত্র: মিল্লাত টাইমস