আবদুল্লাহ তামিম: আল্লাহর ওলি হতে হলে চারটি আমল করা অপরিহার্য্য। এক. ২৪ ঘন্টা আল্লাহকে রাজি রাখা। দুই. প্রত্যেকের নফসেরপাহাড়াদারি করা। তিন. এস্তেগফার পড়া। চার. সুন্নতের ওপর চলা।
সর্বদা আল্লাহকে রাজি রাখা। এক মূহুর্তের জন্যও আল্লাহকে নারাজ না করা। আমি তো একমাত্র আল্লাহকে চাই। শুনবো শুধুই আল্লাহর কথা।আর কারো কথা শুনবো না। এর নাম তাকওয়া।
তাকওয়া অর্জনের তরিকা হলো মুজাহাদা। আর মুজাহাদা মানে হল নফসের বিরুদ্ধে চলা, নফসের বিরুদ্ধে লড়াই করা।
নফসের উপর নজরদারি। সার্বক্ষণিক পাহাড়াদারি। কঠিন হুশিয়ার, সচেতন এবং অতেন্দ্র প্রহরীর মতো নফসের ব্যাপারে জাগ্রত থাকা। তারপর দিনরাত শুধু এস্তেগফার, এস্তেগফার আর এস্তেগফার পড়া।
গাফেল মানুষ সে ব্যক্তি যে বারবার রব্বুল আলামিনের দিকে মুতাওয়াজ্জু হয়ে ক্ষমা চায় না।
স্বংয় পয়গম্বর রাসুল সা. যেখানে একেক বৈঠকে ৭০ বার, ১০০ বার করে এস্তেগফার পড়তেন, আল্লাহর কাছে মাফ চাইতেন। সেখানে তুমি আমি কোনো ইনসান যে এখনো মাফ চাওয়া শিখলাম না।
এখনো মাফ চাওয়ার জিন্দেগি বানালাম না, এহতেমাম করলাম না। বহুতই বড় নালায়েক, বড় জুলুম জিন্দেগির উপর।
আল্লাহ তায়ালা আমদের মাফ করুক, কবুল করুক। এরপর, রাসুল সা. এর সুন্নতের উপর আমল করা। মুসলমান সুন্নতের আমল করবে না তো ইহুদি খ্রিস্টানরা করবে? সাহাবা রা. দের জীবনীর মহান বৈশিষ্ট্য, যেই বৈশিষ্ট্য তাদের সারা জাহানের রাজা-বাদশাদের উর্ধ্বে ওঠিয়েছে সেটা রাসুল সা. এর সুন্নাতকে ধরে রাখার কারণে।
প্রিয় বন্ধুরা! আমরা তো সুন্নাতকে মুহাব্বত করি আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ পাকের দয়া। রাসুল সা. কে মহব্বত করি। তাহলে সুন্নাতকে জানি, সুন্নাতকে চিনি। সেই মোতাবেক আমল করার চেষ্টা করি। ফের আমাদের জিন্দেগী সুন্দর হবে। জযবার উপর না চলি।
সবশেষে একটা কথা বলি, কাওকে কষ্ট দিবো না। আমার জীবনের দৃঢ় সিদ্ধান্তই হবে আমি কোনো মানুষকে, মাখলুককে কষ্ট দিবো না।
কারো ক্ষতি করবো না, কারো বদনাম করবো না, কারো উপর জুলুম করবো না। পাক্কা এরাদা করি ইনশাআল্লাহ।
এই কাজ করতে পারলে ইনশাআল্লাহ হাসতে হাসতে জান্নাত। আর সবগুলো কাজ করার পর এই কাজ বাদ গেলে নিঃসন্দেহে জাহান্নাম। আল্লাহ আমাদের সবাইকে আমলকরার তওফিক দান করুক।
এটি
সঙ্গীত থেকে ওয়াজের মাঠে জনপ্রিয় হয়ে উঠা তিন তরুণ