রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


মৃত্যুর পর সুখে থাকতে সন্তানকে দীনি শিক্ষায় শিক্ষিত করুন: আল্লামা আবদুল কুদ্দুস

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কাউসার লাবীব: ২৩ মার্চ শুক্রবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলায় মারকাযুত তাকওয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের উদ্যোগে আয়োজিত হলো ওলামা সম্মেলন।

উক্ত সম্মেলানে উপস্থিত ছিলেন, ফরিদাবাদ জামিয়ার মুহতামিম ও শাইখুল হাদিস আল্লামা আবদুল কুদ্দুস, শায়েখ জাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করীম, খ্যতিমান ওয়ায়েজ মাওলানা যুবায়ের আহমাদ আনসারী, মারকাজুত তাকওয়ার পরিচালক মুফতি হাবিবুর রহমান মিসবাহ, খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা ফরীদ উদ্দীন আল মোবারক, মুফতি সামদ্দোহা আশরাফী, মুফতি মাহফুজুর রহমান জাবের প্রমুখ।

গতকাল আয়োজিত এ ওলামা সম্মেলনের বক্তব্যে আল্লামা আবদুল কুদ্দস বলেন, সবার একদিন পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে। তাই পরকালের কথা স্মরণ করে আমাদের এখনই সংশোধন হওয়া দরকার। পাশাপাশি মৃত্যুর পর ওপারে যেনো সুখে থাকতে পারি সেজন্য নিজের সন্তানকে দীনি শিক্ষায় শিক্ষিত করা দরকার।

মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ বলেন, সম্প্রতি চরমোনাই মাহফিলে দেওয়া বক্তব্য নিয়ে আমাকে বিভিন্নভাবে কাদা ছোড়া হচ্ছে। অথচ আমার সে বক্তব্যে আমি মনগড়া কিছু বলিনি। কুরআন হাদিস আমাদের যা জানিয়েছে তাই আমি বলেছি।

আমি বিভ্রান্তকারীদের বলব, আপনারা আমার বিরুদ্ধে যে তোহমত দিয়েছেন, আমি তা ক্ষমা করে দিলাম। আপনাদের কাছে অনুরোধ কুরআন পড়ুন হাদিস পড়ুন এবং তা সঠিকভাবে বুঝুন। বাংলা পড়ে কুরআন হাদিস বুঝতে গেলে আপনারা এখনকার মতোই শুধু বিভ্রান্ত ছড়ানো ছাড়া আর কিছু পারবেন না।

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, পার্থিব এ জগতের লালসায় পড়ে চিরস্থায়ী জগতকে ভুলে থাকা বোকামী। দুনিয়া আপনার যতই চাকচিক্য হয় না কেন, আখেরাত যদি সুন্দর না করতে পারি, তাহলে আপনার আমার মতো কপাল পোড়া আর কেউ নাই। তাই আসুন পরকালকে সুন্দর করতে মাওলা পাকের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে দৃঢ় করি।

মাওলানা যুবায়ের আহমাদ আনসারী বলেন, কুরআন হাদিসকে ধারণ করলে এ দেশে কোনো দূর্নীতি দুঃশাসন হবে না। আমি বিশ্বাস করি, এদেশ যতটুকু শৃংখলা আর সুন্দরভাবে চলছে তা ইসলামের বরকতে। কুরআনের বরকতে, হাদিসের পরশে এবং কওমি মাদরাসার ছোঁয়ায়।

মুফতি হাবিবুর রহমান মিসবাহ বলেন, সমালোচনা হতে পারে তবে তা হতে হবে মার্জিত ভাষায়, সভ্য ভঙ্গিমায়। কিছুদিন ধরে এমন কিছু মানুষ মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদকে নিয়ে খুব বাজেভাবে ট্রল করছে, যা কখনোই কাম্য ছিল না।

তিনি বলেন, আমি সবাইকে বিশেষ করে তরুণদের বলব, কাদা ছোড়াছুড়ি বাদ দিয়ে আসুন সুন্দরের চর্চা করি, সভ্যতার চর্চা করি। আমি শপথ করে বলতে পারি যদি আমাদের ঐক্যের বন্ধনকে আমরা  দৃঢ় করতে পারি, তাহলে সারাবিশ্বে ইসলামের মহানুভবতাকে ছড়িয়ে দেওয়া কোনো ব্যপার নয়।

আওয়ার ইসলাম ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করেছেন তো?

মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী বলেন, আমরা আমাদের জীবনকে  গোনাহের সাগরে নিমজ্জিত করে দিয়েছি। এ সাগর থেকে বেরিয়ে আসতে হলে একদিনেই সম্ভব নয়। তাই আমাদের উচিৎ ধীরে ধীরে একটি একটি করে গোনাহ ছেড়ে  দেয়া। আসুন আজ আমরা ওয়াদা করি আর কখনো এ জবান দিয়ে মিথ্যা কথা বলবো না।

মাওলানা ফরিদ উদ্দীন আল মোবারক, মুফতি সামসুদ্দোহা আশরাফি ও মফতি মাহফুজুর রহমান জাবেরও সমসাময়িক ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

মুফতি জহিরুল ইসলাম হাওলাদারের সঞ্চালনায় শুরু হওয়া এ সম্মেলন সকাল নয়টা  থেকে শুরু হয়ে রাত সাড়ে বারোটার দিকে মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীমের মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।

‘কুরআন হাদিসকে ধারণ করলে এ দেশে কোনো দুর্নীতি হবে না’

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ