আওয়ার ইসলাম: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদ থেকে এইচআর ম্যাকমাস্টারকে সরিয়ে সমালোচিত কূটনীতিক জন বোল্টনকে নিয়োগ দিয়েছেন।
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত বোল্টন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের আমলের আগ্রাসী প্রতিরক্ষা নীতির পাঁড় সমর্থক ছিলেন।
গত সপ্তাহে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদ থেকে রেক্স টিলারসনকে বরখাস্ত করার পর শুক্রবার (২৩ মার্চ) ট্রাম্প নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদে এ পরিবর্তন আনলেন। অবশ্য হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের দায়িত্বগ্রহণের ১৪তম মাসে তৃতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেলেন বোল্টন।
ম্যাকমাস্টারকে সরিয়ে দেওয়ার পর ভোরে এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি অসাধারণ কাজ করেছেন এবং আমার বন্ধু হয়ে থাকবেন সবসময়।’
উত্তর কোরিয়া ও ইরানকে আক্রমণের মতে সমর্থন দিয়ে আসা বোল্টন নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদে নিয়োগ পাওয়ার খবরে শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার কাজ হবে প্রেসিডেন্টকে সবরকমের বিকল্পের নিশ্চয়তা দেওয়া।’
বোল্টনের নিয়োগ কার্যকর হওয়ার জন্য কারও অনুমোদন লাগবে না। আগামী ৯ এপ্রিলই তিনি এ পদে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
৬৯ বছর বয়সী বোল্টন বলেন, ‘আমাদের দেশকে জাতীয়ভাবে আরও নিরাপদ এবং আন্তর্জাতিকভাবে আরও দৃঢ় অবস্থানে নিয়ে যেতে প্রেসিডেন্ট ও তার দলের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছি।’
বোল্টন রিপাবলিকান পার্টিরই প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান, জর্জ এইচডব্লিউ বুশ ও জর্জ ডব্লিউ বুশের আমলে কূটনৈতিক পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। জুনিয়র বুশ তাকে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পদে নিয়োগ দেন। ওই সময়ই নিজের আগ্রাসী কথা-বার্তার জন্য সমালোচনা হজম করতে হয় তাকে।
এমনকি সাদ্দাম হোসেনের কাছে গণবিধ্বংসী অস্ত্র আছে বলে যে ধারণা তৈরি করে ইরাক আগ্রাসনের পটভূমি প্রস্তুত করা হয়, সেক্ষেত্রেও এই কট্টর নব্য-রক্ষণশীল কূটনীতিকের ভূমিকা ছিল বলে মনে করেন পর্যবেক্ষকরা।
যদিও পরে গণবিধ্বংসী অস্ত্র থাকার ধারণা ভুল প্রমাণ হয়, তারপরও ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন বোল্টন।
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন। তিনি হুমকি-ধামকি দিয়েছেন ইরানকেও। সবশেষ যদিও পিয়ংইয়ংয়ের