হাওলাদার জহিরুল ইসলাম: সৌদি আরবের আলোচিত যুবরাজ ও ধনকুবের ওয়ালিদ বিন তালাল বলেছেন, এখন আমার জীবনে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে।
রাজধানী রিয়াদের হোটেল রেডজ কার্লিটনে বন্দী জীবন শেষ করে এক টিভি সাক্ষাতকারে তিনি রাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে বলেন, মানুষ বলে যে আমি ক্ষমা করে দিয়েছি।
তবে আমি ভুলতে পারবো না বন্দী জীবনের দিনগুলি। অবশ্য আমি এটাও বলি, ক্ষমা করে দিয়ে ভুলে যাওয়া উচিৎ।
দেশে জারি করা দুর্নীতি বিরোধী অভিযানকে আমি সমর্থন করি। আফসোসের বিষয় হলো, এর মাঝে আমার নিজের নামই অন্তর্ভুক্ত হয়ে গিয়েছিলো। তবে খুশির কথা হলো, এখন আমি সব ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্ত।
আজ একটি আরব চ্যানেলে তার বিস্তারিত সাক্ষাৎকার দেয়ার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে, বিন তালাল মুক্ত হওয়ার পরপরই অঙ্গীকার করেছিলেন, তার ব্যাপারে মানুষের রটানো নানা কথার জবাব দেবেন।
প্রিন্স আল ওয়ালিদ বিন তালাল। তিনি আন্তর্জাতিকভাবে কিংডম হোল্ডিং কোম্পানির শেয়ার হোল্ডার ও মালিক হিসেবেই বেশি সমাদৃত এবং সুপরিচিত। কিংডম হোল্ডিং পুরো বিশ্বে প্রভাবশালী একটি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। মধ্যপ্রাচ্যে তিনি সুপরিচিত এন্টারটেইনমেন্ট কোম্পানি রোটানার মালিক।
আল ওয়ালিদ বিন তালালের জন্ম সৌদি আরবের জেদ্দায় ১৯৫৫ সালের ৭ মার্চ। তিনি একাধারে সৌদি আরব ও লেবাননের নাগরিক। ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব, কিছু ক্ষেত্রে লিজেন্ড কিংবা তার চেয়েও বেশি, সৌদি শাসক আবদুল আজিজ আল সৌদ ছিলেন তার দাদা।
সোনার খাটে ঘুমানো প্রিন্স ওয়ালিদকে গ্রেফতারের পর এভাবেই হোটেলের মেঝেতে রাত কাটাতে হয়
বিশ্ববিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন তার ব্যবসায়িক সফলতায় মুগ্ধ হয়ে তাকে ‘অ্যারাবিয়ান ওয়ারিয়ান বাফেট’ উপাধিতে ভূষিত করেছে। তিনি ব্যবসা ছাড়াও বিশ্বব্যাপী মানবহিতৈষী কাজে সুপরিচিত। তিনি আল ওয়ালিদ বিন তালাল ফাউন্ডেশন নামক দাতব্য প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক।
তিনি ২০০৮ সালে টাইম ম্যাগাজিনের করা জরিপে বিশ্বের ১০০ জন প্রভাবশালীর মধ্যে একজন ছিলেন। গেল বছর জুনে প্রকাশ পাওয়া ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী তিনি বিশ্বের ৩৪তম ধনী ব্যক্তিত্ব। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
১৯৮৮ সালে তিনি সর্বপ্রথম ফোর্বস ম্যাগাজিনের নজরে আসেন। তিনি সম্প্রতি তার সব সম্পত্তি দাতব্য সংস্থার পেছনে ব্যয় করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
প্রিন্স ওয়ালিদ বিন তালালের সেরা উক্তি হলো ‘আমি কঠোর পরিশ্রমে বিশ্বাসী এবং বিশ্বাসী সফলতায়।’ এটি এক সফল মানুষের উক্তি।
সূত্র: ডেইলি পাকিস্তান
আরআর