মুফতি ইসমাইল মেনক
শিক্ষাবিদ ও দাঈ
মানুষ যখন গুনাহ করে ফেলে, শয়তান মানুষকে তখন প্ররোচণা দেয়- প্রথমত, গুনাহগার ব্যক্তি যেন আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা না করে তার পাপকর্মকে অব্যাহত রাখে। দ্বিতীয়ত, শয়তান যদি তার এই প্ররোচণায় সফল না হয় এবং মানুষ যদি তার গুনাহ থেকে আল্লাহর কাছে তওবা বা ক্ষমা প্রার্থনা করে, তাহলে তাকে তার তওবা কবুল হওয়ার ব্যাপারে নিরাশ করার জন্য প্ররোচণা দেয়। তাকে এই চিন্তা করার প্ররোচণা দেয় যে, তার তওবা আল্লাহর কাছে কবুল হয়নি। যাতে করে সে হতাশ হয়ে আবারও গুনাহের কাজে লিপ্ত হয়।
মানুষ যদি মনে করে, আল্লাহ তার তওবা কবুল করবেন না, তাহলে এটি আল্লাহর সম্মানের সাথে সাংঘর্ষিক।
আল্লাহ তা’আলা বলেছেন, ‘বলুন, হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের ওপর জুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গুণাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সূরা যুমার, আয়াত- ৫৩)
এখানে আল্লাহ তা’আলা তাঁর বান্দাদের বলছেন, আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ না হতে। কিন্তু বান্দা যদি নিরাশ হয়, তবে এটি আল্লাহর আদেশের সম্পূর্ণ বিপরীত কাজ হিসেবে চিহ্নিত হয় এবং এর মাধ্যমে আল্লাহকে অপমান করা হয়। আল কুরআনের এই ভাষ্য অনুসারে, মানুষ যখনই আল্লাহর কাছে তার পাপের জন্য ক্ষমা চাইবে আল্লাহ তখনই তাকে ক্ষমা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বান্দা যদি আল্লাহর কাছে আন্তরিকভাবে তার গুনাহকে স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং ভবিষ্যতে ওই গুনাহ না করার জন্য অঙ্গীকার করে, তবে সে আশা করতে পারে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন।
সুতরাং, মানুষ যদি কোনো ভুল বা অন্যায় করে ফেলে, তাহলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। শয়তানের প্ররোচণায় হতাশ না হয়ে এবং ভ্রুক্ষেপ না করে মানুষের উচিত আল্লাহর কাছে গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা।
দয়াময় আল্লাহ আমাদেরকে শয়তানের নিকৃষ্ট প্ররোচণা থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন। পরিবর্তন ডটকম।