এম এ মান্নান: ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কওমী প্রতিষ্ঠান জামিয়া আরাবিয়া আশরাফুল উলূম বালিয়ার সিনিয়র শিক্ষক হাফেজ মাওলানা ক্বারী মাসউদুর রহমান (৫১) ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
বারডেম হাসপাতালসহ দেশীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার পর অবশেষে ক্যান্সারে ১১ মার্চ ২০১৮ সাড়ে রাত ৮টায় উপজেলার ঘোমগাঁও মীর বাড়িতে তিনি ইন্তিকাল করেন।
এর আগে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের মাদ্রাজে যেতে চাইলেও টিকিট না পাওয়ায় সম্ভব হয়নি।
তিনি বিগত কয়েক বছর যাবৎ গলায় টিউমারজনিত ক্যান্সারে ভুগছিলেন। ১২ মার্চ দুপুর সোয়া ২টায় বালিয়া মাদরাসা মাঠে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তাকে ঘোমগাঁও গ্রামে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানাজাপূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বালিয়া মাদরাসার শিক্ষা উপদেষ্টা শায়খুল হাদীস আল্লামা ইমদাদুল হক, মজলিসে শুরার সভাপতি আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা মুজিবুর রহমান, বালিয়া মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আইন উদ্দিন, নায়েবে মুহতামিম আনওয়ারুল ইসলাম হেলাল, সাবেক নায়েবে মহতামিম মাওলানা ওয়াইজ উদ্দিন, চাচা মাওলানা ইলিয়াস, সিনিয়র শিক্ষক সাংবাদিক মাওলানা মুখলেসুর রহমান মন্ডল, রূপসী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, বালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল মোজাহীদ সরকার, আওয়ামী লীগনেতা জুবায়ের হোসেন তালুকদার, এড. মিজানুর রহমান তালুকদান, তারাকান্দা বাণিজ্যিক সমিতির সভাপতি মরহুমের ক্লাসমেট নুরুজ্জামান বকুল প্রমুখ।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ছেলে, ১মেয়ে, মা-বাবা, ছাত্রছাত্রী ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
হাফেজ মাসউদ প্রায় ১৬ বছর বালিয়া মাদরাসায় লেখাপড়ার পর একই প্রতিষ্ঠানে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অত্যন্ত দক্ষতা ও যোগ্যতার সাথে প্রায় ২৩ বছর শিক্ষকতা করেন।
সাহাপুর, ছনকান্দা বাজার জামে মসজিদ, হাসপাতাল জামে মসজিদ, ফুলপুর বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদ ও বালিয়া মাদরাসা মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদে তারাভীহের নামাজে ইমামতি করেছেন।
তার নামাজে জানাজায় হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের ঢল নামে। জানাজায় ইমামতি করেন মরহুমের ছেলে হাফেজ মুয়াজ।
জানাজাপূর্ব বক্তব্যে মিজানুর রহমান বলেন, তিনি খুব হাস্যোজ্বল ও সাদা মনের মানুষ ছিলেন।
মাওলানা ইমদাদুল হক বলেন, মাসউদ আমার ছাত্র। আমি তার জন্য সবার দোয়া চাই। পরিবারের পক্ষ থেকেও তার রূহের মাগফিরাত কামনা করে সকলের দোয়া চাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সৌদির গ্রান্ড মুফতির ক্ষমতা কতটুকু? কে এই শায়খ আবদুল আজিজ