আওয়ার ইসলাম: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা শুরু হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হয় জনসভা।
জনসভায় সভাপতিত্ব করছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে তিনি জনসভাস্থলে পৌঁছান। বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ভাষণ শুরু করেন।
জনসভার সূচনা বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামী ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আমাদের শপথ নিতে হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আজ আমাদের শপথ হোক, মৌলবাদী, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে পরাজিত করে আমরা বিজয় ছিনিয়ে আনব।’
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরবর্তী নির্বাচনে আবারও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর এই প্রথম দেশে ঐতিহাসিক এই দিনটি পালিত হচ্ছে। বৈশ্বিক এই স্বীকৃতি পাওয়ায় দিনটিকে এবার বিশেষ আয়োজনে জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালন করছে আওয়ামী লীগ।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষসহ দলের নেতাকর্মীরা।
শাহবাগ, টিএসসি, দোয়েল চত্বর ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের রাস্তা দিয়ে নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ধরনের ব্যানারে দলের প্রতীক নৌকা, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি, ফেস্টুন নিয়ে জনসভাস্থলে এসেছেন। নেতাকর্মীদের অনেকেই লাল-সবুজ গেঞ্জি পরিহিতসহ মাথায় লাল-সবুজ ও সাদা রঙের টুপি পরে সভাস্থলে হাজির হয়েছেন।
এ ছাড়া বাসে ও পিকআপ এবং অনেক যানবাহনে ৭ মার্চের ভাষণ বাজতে দেখা গেছে। এ ছাড়া উদ্যানের আশপাশে ভাষণ বাজছে এখনো।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তাব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। উদ্যানের আশপাশে পুলিশ, র্যাব ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশকে দেখা গেছে। এ ছাড়া উদ্যানের ভেতরে প্রবেশের জন্য ছবির হাট ও টিএসসির প্রবেশদ্বারে পুলিশকে তল্লাশি করতে দেখা গেছে। সভাস্থলে আসা নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের কাছে থাকা হেডফোন, কলম ও ডায়েরি রেখে দিয়ে ঢুকতে দিচ্ছে। এ ছাড়া ব্যাগ হাতে কাউকেই ঢুকতে দিচ্ছে না।