আওয়ার ইসলাম: এপার-ওপার বাংলাকে মিলিয়ে দিলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বাঁশের বেড়া উপেক্ষা করে ভাষার দাবিতে আন্দোলনে শহিদদের প্রতি সম্মিলিত শ্রদ্ধা জানাল ভারত-বাংলাদেশ। ভৌগলিক সীমারেখা ভুলে কেবলমাত্র ভাষার টানে দুই বাংলার মানুষ একই মঞ্চে গাইলেন বাংলার জয়গান।
কাঁটাতারের বেড়া দুই বাংলার বন্ধনকে আটকাতে পারবে না উল্লেখ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের খাদ্য ও সরবরাহমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেছেন, ২০ বছরের মধ্যে গোটা বাংলা এক হয়ে যাবে।
বুধবার সকালে বেনাপোল জিরো পয়েন্টে আয়োজিত ভাষাপ্রেমীদের মিলনমেলায় তিনি একথা বলেন। বেনাপোল পৌরসভা আর পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ পৌরসভা যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ উপলক্ষে সকাল থেকে গান, আবৃত্তি আর দুই বাংলার কবি-সাহিত্যিক-শিল্পী-রাজনীতিবিদ ও সীমান্তবর্তী গ্রামের মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে জিরো পয়েন্ট।
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য বলেন, আজ দুই বাংলা একত্রে বাঙালির অর্জনকে উপলক্ষ করে মিলিত হয়েছে। এটা খুবই গর্বের বিষয়। দুই দেশের সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও মৈত্রীতে এটা অনুপ্রেরণা যোগাবে।
জিরো পয়েন্টে অস্থায়ীভাবে নির্মিত শহিদ বেদিতে সকাল ৯ টায় শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ সময় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বাংলাদেশ থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার, কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী, জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিন, বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল হক, পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানসহ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শিল্পী ফাতেমাতুজ্জোহরা, কিরণ চন্দ্র রায় এবং ভারতের শিল্পী অনুপম রায় সংগীত পরিবেশন করেন। এছাড়া আবৃত্তি করেন ভারতের লেখক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় এবং বাংলাদেশের অভিনেতা ও আবৃত্তিকার জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়।
এইচজে