শাহনাজ শারমিন
ফ্যাশন বলতে এককালে শুধু মেয়েদের ফ্যাশনকেই বুঝানো হতো। কিন্তু যুগ পাল্টেছে, পাল্টেছে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিও। আর বদলেছে ছেলেদের ফ্যাশনের ধারা। যোগ হয়েছে এক এক করে নতুন মাত্রা।
তবে এই ফ্যাশনের জন্য কিন্তু অফিস ছেড়ে মুখে কলা-টক দই মেখে বসে থাকার প্রয়োজন নেই মোটেই, বরং সব কাজের মাঝে বুদ্ধি করে পোশাক আর এর সাথে মিলিয়ে অন্যান্য অনুষঙ্গ ঠিক করে নিন তাহলেই আপনি হয়ে উঠবেন ফ্যাশনেবল।
ফ্যাশন সচেতনতা কাজে লাগিয়ে রং ও কাটিংয়ে পরিবর্তন এনে আপনি হয়ে উঠতে পারেন আলাদা।
সবাই যার যার জায়গা থেকে ফ্যাশন সচেতন হয়ে উঠেছে। ছেলেদের ফ্যাশন বলতে একটা সময় শুধু শার্ট-প্যান্ট, এক জোড়া স্যান্ডেল বোঝালেও এখন আর সেই সময়টা নেই। ছেলেদের ফ্যাশন সেন্সে এসেছে অনেক পরিবর্তন এসেছে। স্টাইলিশ ফ্যাশনের জন্য পাঞ্জাবির বিকল্প নেই।
পাঞ্জাবি দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের মধ্যে সুপ্রচলিত একটি পোশাক। বিশেষ করে শতাব্দীর পর শতাব্দী পাঞ্জাব প্রদেশের এটি ঐতিহ্যবাহী পোশাক হিসেবে পরিচিত, যা নারী-পুরুষ উভয়েই পড়ে থাকেন।
পাঞ্জাব প্রদেশে এটি পাতিওয়ালা সালোয়ার দিয়ে বেশি পরা হয়ে থাকে। আমরা বাঙালিরা অবশ্য পাঞ্জাবির সাথে পায়্জামাই বেশি ব্যবহার করে থাকি।
ছেলেদের শুক্রবারটা যদি হয় পাঞ্জাবিতে। তবে পাঞ্জাবির ধারাটি কি? খাটো নাকি লম্বা? ঢিলে নাকি আঁটসাঁট! পাঞ্জাবিতে কোন রং এবার ফ্যাশনে বাজিমাত করবে, সে বিষয়টিও।
শুধু কি ঈদকে বা যে কোনো উৎসবকে উপলক্ষ করেই যে পাঞ্জাবি পড়তে হবে এমন কোনো কথা নেই। যে কোনো কার্য দিবসে অথবা ছুটির দিনে পড়তে পারেন বিভিন্ন রঙের ডিজাইন করা পাঞ্জাবি।
শুক্রবারে বা ছুটিরদিনে অনেকে দুপুরে নামাজে যাওয়ার সময় কিংবা বিকেলের পর থেকে কিছুটা জমকালো পাঞ্জাবিও পরেন। বিশেষ করে যারা ছুটির দিনে অফিস করেন তারা তো পাঞ্জাবির ফ্যাশন প্রবণ।
এ কারণে সুতির বাইরে ভারী কাজের সিল্ক, অ্যান্ডি সিল্ক, জামেবর, জ্যাকার্ড, রাজশাহী সিল্ক, ভিসকস ইত্যাদি কাপড়ের জমকালো পাঞ্জাবি রাখা হচ্ছে।’
পাঞ্জাবি পায়জামা সত্যি ফ্যাশন জগতে অনবদ্য ভূমিকা পালন করে আসছে সেই শুরু থেকেই। রাজা-বাদশা, নবাবদের গড়নে বাদশাহী ব্যাপার ফুটিয়ে তুলতে আসলে পাঞ্জাবি-পায়জামার জুড়ি ছিল অসামান্য।
মডেল : আমির পারভেজ