আওয়ার ইসলাম: আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষের পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাহ আমানত ও শাহজালাল হলে পুলিশ ব্যাপক তল্লাশি চালিয়েছে।
সোমবার দিনগত রাতে এই তল্লাশি চালানো হয়। এসময় কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া পরিত্যক্ত অবস্থায় দুইটি দেশীয় কাটা রাইফেল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
এই তল্লাশির প্রতিবাদে ছাত্রলীগ কর্মীরা আজ মঙ্গলবার সকাল ছয়টার দিকে শাটল ট্রেনের হোস পাইপ কেটে দিয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর লিটন মিত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, শাটল ট্রেনের হোস পাইপ কেটে দেয়ার কারণে শহর থেকে কোনো শিক্ষক-শিক্ষার্থী ট্রেনে করে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পারেনি। পাশাপাশি তারা শিক্ষক বাসেরও চাবি কেড়ে নিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মহসিন মজুমদার বলেন, সোমবার রাতে দুই হলে অভিযান চালানো হয়েছে। এসময় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। পরিত্যক্ত অবস্থায় দুইটি দেশীয় কাটা রাইফেল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ জালাল ও শাহ আমানত হলে অবস্থান নিয়ে ছাত্রলীগের দুইপক্ষের কর্মীরা সংঘর্ষে জড়ায়। সেসময় দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া এবং ঢিলের আঘাতে অন্তত ছয়জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।
ছাত্রলীগের ওই দুই পক্ষের মধ্যে একটি গ্রুপ প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী। অন্য পক্ষটি নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
এইচজে