আওয়ার ইসলাম : রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭। শংকর আবাসিক এলাকার বিক্রমপুর মিষ্টি দোকানের সামনে ৩০ ফুটেরও অধিক দৈর্ঘ্যের বিশাল একটি বিলবোর্ড। বিলবোর্ডে লেখা, ‘দাড় কাউয়া মুক্ত মোহাম্মপুর থানা আওয়ামী লীগ চাই।’ লেখাটির ডানপাশেই বিশাল একটি দাড় কাকের ছবি আর মোহাম্মপুর বলতে মোহাম্মদপুর থানাকে বোঝানো হয়েছে।
বিলবোর্ডের ছবিটি শনিবার সকাল থেকে ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।
আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ‘কাউয়া’ শব্দটি জনপ্রিয় করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গেল বছরের মার্চে সিলেটে বিভাগীয় তৃণমূল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন যে, সংগঠনে ‘কাউয়া’ (কাক) ঢুকছে । তিনি বলেন, ‘প্রচার লীগ, তরুণ লীগ, কর্মজীবী লীগ, ডিজিটাল লীগ, হাইব্রিড লীগ আছে। কথা হাছা, সংগঠনে কাউয়া ঢুকছে। জায়গায় জায়গায় কাউয়া আছে। পেশাহীন পেশিজীবী দরকার নেই। ঘরের ভেতর ঘর বানানো চলবে না। মশারির ভেতর মশারি টানানো চলবে না।’
মূলত কাউয়া বলতে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি-জামায়াত, বিভিন্ন বাম দল এবং জাতীয় পার্টি থেকে দলে এসে দীর্ঘ দশ বছরে তাদের বিপুল অর্থ ভাণ্ডার তৈরি করেছেন তাদের বুঝে থাকে আওয়ামী লীগের কর্মীরা। কাউয়াদের নিয়ে তাদের মনে ব্যপক্ষ ক্ষোভও বিদ্যমান। তাই ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্যের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মাঝে কাউয়া শব্দটি জনপ্রিয় হয়ে উঠে। এরপর ‘কাউয়া’দের প্রতিহত করতে তাই তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা রাজপথে ও সামাজিক মাধ্যমে বরাবর সোচ্চার রয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী রিয়াজ আহমেদ বাবু বলেন, শনিবার সকাল বেলাই ধানমন্ডির ওই সড়কে বিলবোর্ডটি দেখতে পাই। কে বা কারা এই বিলবোর্ড তৈরী করেছে সেটা নিশ্চিত নই । তবে এটা জনগনের মধ্যে ব্যপক সাড়া ফেলেছে।