আওয়ার ইসলাম
দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার পর এবার তাকে ছাড়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপির অসুবিধা কোথায় বলে জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। যেকোনো পরিস্থিতিতে বিএনপির নির্বাচনে আসা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।
শনিবার ভোলায় এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। দুর্নীতির মামলায় খালেদার সাজার রায়ের পর বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচিকে ইতিবাচক মনে করেন আওয়ামী লীগের সিনিয়র এ নেতা।
তিনি বলেন, দলীয় প্রধান জেলে থাকলেও বিএনপির নির্বাচন করতে অসুবিধা কোথায়? তারা নির্বাচন করতে পারবে না কেন? ভোট করবে ধানের শীষ আর নৌকা। আরেকটা হলো লাঙল।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ থাকায় তাদের কোনো মার্কা নাই। তাই তারা থাকবে বিএনপির সাথে। খালেদা জিয়া তো বলেছেন, তিনি যেখানেই থাকেন বিএনপি তাদের কাজ চলিয়ে যাবে। তাদের উচিত নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়া।
তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক। ক্ষমতায় থাকবে এই সরকারই। এখন বিএনপি যদি মনে করে, এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে আসবে না- সেটি তাদের ব্যাপার। তবে বিএনপি নির্বাচনে না এলে আরেকটি ভুল করবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, পাঁচটি সিটি কর্পোরেশনে দলীয় প্রার্থীরা বিজয়ী হওয়ার পর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি জয়ের আমেজ আসতে পারতো। কিন্তু তারা সে নির্বাচনে না এসে ভুল করেছে। ভেবেছিল তারা নির্বাচন না করলে দেশে কোন নির্বাচন হবে না। শেখ হাসিনার বিচক্ষণ ও দৃঢ়তায় সে নির্বাচন হয়েছে।
তোফায়েল বলেন, নেত্রীর জেল হওয়ার পর বিএনপি একটা ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, তারা বড় কোনো আন্দোলনে যাবে না। দলীয় কর্মীদের স্বাভাবিক অবস্থায় রাখতে তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা বুঝতে পেরেছে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে কোন লাভ হবে না। বিগত দিনেও জ্বালাও পোড়াও করে লাভ হয়নি, বরং ক্ষতি হয়েছে।
এর আগে ভোলার উপশহর বাংলাবাজারে স্বাধীনতা জাদুঘর পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন বিনিয়োগ বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান এম. মোকাম্মেল হক, শিল্পপতি মীর নাসির হোসেন, দৈনিক ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ভোলা জেলা প্রশাসক মোহা. সেলিম উদ্দিন, পুলিশ সুপার মো. মোকতার হোসেনসহ জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা।
/এটি