মুফতী মনসূরুল হক
শাইখুল হাদিস, জামিয়া রাহমানিয়া
হাকিমুল উম্মত আশরাফ আলি থানবি রহ. এর এক মুরিদ অফিসার ছিলেন। হজরত থানবি রহ. এর সোহবতে আসার পর তার তওবা নসিব হয়, ফলে তিনি ঘুষের(চাকরি জীবনে ঘুষ খেতেন) সকল টাকা মানুষকে খুঁজে খুঁজে ফেরত দিয়ে দেন।
এরপর তিনি বাইতুল্লাহর জিয়ারতের জন্য অস্থির হয়ে পড়েন এবং পুরোপুরি সুন্নতি জীবন যাপন করেন। মোটকথা নেক জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন।
ওই অফিসার পরে ‘আশরাফুল জওয়াব’ নামে একটি কিতাবও সংকলন করেন যাতে আশরাফ আলি থানবি রহ. (লোকজন কতৃক জিজ্ঞাসিত) বিভিন্ন জটিল জটিল প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন।
এ জেনারেল অফিসার কতৃক সংকলিত কিতাব থেকে এখন আলেমরা পর্যন্ত উপকৃত হচ্ছেন।সৎসঙ্গ মানুষকে কতটা দামি বানিয়ে দেয় এ ঘটনা তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
উপসংহার: আমরা আলেম বা মুবাল্লিগ যাই হই না কেন আমাদের উচিত কোনো একজন আল্লাহ ওয়ালা আলেমের তত্ত্বাবধানে জীবন অতিবাহিত করা, যেমনটি আমাদের আকাবিরদের (বড়দের) জীবনীতে দেখা যায়। তা না হলে যেকোনো সময় পদস্খলন ঘটতে পারে।
আর বড়দের অনুসরণ করা তো আমার আপনার জন্য জরুরি। কেননা নবীজি সাল্লাল্লাহু-আলাইহি ওয়া-সাল্লাম বলেন, ‘আল খাইরু মাআ’ আকাবিরিকুম’(মুস্তাদরাকে হাকিম)
অর্থ সকল কল্যাণ বড়দের সঙ্গে। অর্থাৎ বড়রা যে মত ও পথ গ্রহণ করেছেন তা আকড়ে ধরার মধ্যেই দুনিয়া ও আখিরাতের সকল কল্যাণ নিহিত। হাদিসের সনদ সহিহ।
বড়দের সাথে আমাদের বড় একটি পার্থক্য হচ্ছে তারা আল্লাহ ওয়ালাদের সোহবতকে খুব গুরুত্ব দিতেন আর আমরা অনেকে আমল হয়ত বেশি করি কিন্তু সোহবতকে বিশেষ গুরুত্ব দিই না।
মাওলানা আশরাফ আলি থানবি রহ., মাওলানা ইলিয়াস রহ. বা আমাদের জামানার যারা অনুসরণীয় তারা প্রত্যেকেই কোনো একজন আল্লাহ ওয়ালার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেন আর আমরা?
[মুফতী মনসূরুল-হক কতৃক 23/9/16 জুমু'আর বয়ান অবলম্বনে]