কাউসার লাবীব
প্রতিবেদক
রাজধানীতে শুক্রবার অনলাইন নিউজপোর্টাল আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকমের উদ্যোগে রাজধানীর অনুষ্ঠিত হলো অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট সম্মেলন।
তোপখানা রোডের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি মিলনায়তনে বিকেলে তরুণদের এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক হুমায়ুন আইয়ুব।
প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চিন্তাশীল আলেম, রাজনীতিক ও সংগঠক খতিব তাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ার ইসলামের প্রধান সম্পাদক মুফতি আমিমুল ইহসান।
সভায় ‘মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়া সঙ্কট ও সমাধান’ শীর্ষক বিষয়ের ওপর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন দেশের আলোচিত তরুণ, লেখক, সাংবাদিক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টগণ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির আলোচনা করেন দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের সহ সম্পাদক ও পরিবর্তন ডটকমের সিনিয়র সহসম্পাদক মাওলানা আলী হাসান তৈয়ব।
তিনি বলেন, মিডিয়ার সম্ভাবনার কথা মোটামুটি আমরা সবাই জানি। কিন্তু তার সঙ্কট আমরা অনেকে জানিও না। আর বুঝতে চাই না।
একটি পত্রিকা চালাতে হলে কী পরিমাণ সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যেতে হয় তা মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে কিছুটা বুঝি ও জানি।
আমি একবার মুফতি আমিনি রহ. কে নিয়ে তার মৃত্যুবার্ষিকীতে একটি কলাম লিখে ছিলাম। তাতে একটি শব্দ ব্যবহার করেছিলাম। সেটা এখানে উল্লেখ করতে চাচ্ছি না।
তো লেখাটি পত্রিকায় পাব্লিস্ট হওয়ার পর ওই একটিমাত্র শব্দের জন্য ওপরের মহল থেকে চাপ আছে এবং এর জন্য সম্পাদকের কাছে আমার জবাবদিহীতার স্বিকার হতে হয়।
মাওলানা আলী হাসান তৈয়ব বলেন, ফেসবুক ইউজারদের আমি বলব, যদি আপনারা ফামাই’ ইয়া’মাল মিসকালা যাররাতিন খাইরাই ইয়ারা-র দিকে লক্ষ রাখেন তাহলে আপনাদের দ্বারা কখনও অযাচিত কাজ সংঘটিত হবে না।
তিনি বলেন, কারও সমালোচনা করার ক্ষেত্রে ভালো ভাষা এবং মমতা মাখা ভাষা ব্যবহার করবেন। মানবতার নবী মুহাম্মদ সা. কখনও কঠিন ও নোংরা শব্দ ব্যবহার করতেন না। তিনি সহজ ও প্রাঞ্জল শব্দ ব্যবহার করে মানুষকে ইসলামের দিকে ডাকতেন।
আমরা যদি নিজেরা নিজেরা ঝগড়া ও সমালোচনা নিয়ে সময় ব্যয় করি তাহলে আামাদের কমন শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করব কখন? ইহুদি আর নাস্তিকরা তো আমাদের কমন শত্রু। আমরা তো মুসলমানদের বিরুদ্ধেই লেগে আছি। আসুন আমাদের স্লোগান হোক ‘আমরা কমন শত্রুদের বিরুদ্ধে কথা বলব’।
তিনি আরো বলেন, দারুল উলুম দেওবন্দের ওলামায়ে কেরাম সর্বধর্মীয় কনফারেন্স করে আমাদের দেখিয়েছেন কীভাবে একতার শক্তি ওলামায়ে কেরামের হাতে নিতে হয়। কিন্তু আমরা তাদের চিন্তা লালনের দাবি করলেও তা করে দেখাতে পারছি না।
আমরা বেদাতিদের দেখলে নাক ছিটকাই। আমাদের মনে রাখতে হবে, তাদের অনুষ্ঠান, শোডাউন, মিছিলে যেমন নাস্তিক আর বামপন্থিদের গা জ্বলে। তেমনি আমাদের অনুষ্ঠান, শোডাউন, মিছিলেও নাস্তিক আর বামপন্থিদের গা জ্বলে। সুতরাং আমরা আমরা বিভেদ সৃষ্টি করলে চলবে না।
সবশেষে তিনি বলেন, আমাদের আরেকটি সঙ্কট হলো হলো, মিডিয়ায় যোগ দিলে আমাদের আমলে ঘাঁটতি চলে আসে। এ থেকে আমাদের সাবধান হতে হবে।
আমি মিডিয়া কর্মী বলে আমার জামাত মাফ হয়ে যায় নি। আমি শিল্পী বলে, সঙ্গীত গাই বলে আমার নামাজ মাফ হয়ে যায় নি। আমি আশা করবো, আমরা এ বিষয়ে যত্নশীল ও সচেতন হব।
সবশেষে আবার বলছি, আসুন আমরা নিজেদের শক্তি ক্ষয় না করে কমন শত্রুর বিরুদ্ধে সোচ্চার হই।
আওয়ার ইসলামের নির্বাহী সম্পাদক রোকন রাইয়ানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরামের সভাপতি জহির উদ্দিন বাবর, শীলনবাংলা সম্পাদক মাসউদুল কাদির, নূর বিডি ডটকম সম্পাদক সৈয়দ শামসুল হুদা, যুবকণ্ঠের সম্পাদক ও মাদরাসা বাইতুল মুমিনের প্রিন্সিপাল মুফতি নেয়ামতুল্লাহ আমিন, ইসলামী লেখক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুনীরুল ইসলাম, আলোকিত বাংলাদেশের সাব এডিটর আলী হাসান তৈয়ব, লেখক ও অনুবাদক আবদুস সাত্তার আল আইনী, লেখক ও গবেষক মাওলানা মহিউদ্দীন ফারুকী, আলেম ও লেখক মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেমী, পির ইয়েমেনী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা ইমরানুল বারী সিরাজী, কলামিস্ট মাওলানা মাহমুদুল হাসান সিরাজী, কিশোরস্বপ্ন নির্বাহী সম্পাদক জিয়াউল আশরাফ, রাহমানী পয়গামের সহকারী সম্পাদক এহসানুল হক, মাসিক নতুন ডাক সম্পাদক শাকিল আদনান, এক্টিভিস্ট মাওলানা ওয়ালিউল্লাহ আরমান, রকমারি ডটকমের এহসানুল হক, সবার খবর সম্পাদক আবদুল গাফফার, সৃজন সম্পাদক আমিন ইকবাল, ইসলামী লেখক ফোরাম অর্থ সম্পাদক মুহাম্মদ তাসনিম, কারেন্ট বাংলা সম্পাদক আহসান শরিফ, লেখক ফারুক ফেরদৌস, কবি ইফতেখার জামিল, আল জামিয়া’র সহ সম্পাদক সুলাইমান সাদী, এ এস এম মাহমুদ হাসান, আদুল্লাহ তামিম, উবায়দুল্লাহ সাআদ, আমিন হানিফ, আমিন মুনশি, উবায়দুল হক খানসহ অারো অনেক তরুণ লেখক ও এক্টিভিস্ট।
পুরো বক্তব্য শুনুন ভিডিওতে