মাওলানা হুসাইন আহমদ গুজরাটি
অনুলিখন: উবায়দুল্লাহ সাআদ
হামদ ও সালাতের পর মাওলানা হুসাইন আহমদ তালেবে ইলমদের মর্যাদা বয়ান করতে গিয়ে বলেন, তালেবে ইলমরা হলেন সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মত। উম্মদের সর্বশ্রেষ্ঠ দল হলো তালেমে ইলমদের দল।
তিনি বলেন, আপনারা তো নিজ আগ্রহে ইলম শিক্ষা করছেন, যারা তাবলিগের মেহনত করে তাদের তো তাশকিল করে, দাওয়াত দিয়ে দ্বীন শিখতে আগ্রহী করা হয়ে থাকে, আর আপনার নিজেদের সব ছেড়ে দীন শেখায় মশগুল আছেন।
এ জন্যেই নবী সা. হাদিস শরিফের মাঝে বলেছেন, তোমারদের মাঝে যারা কুরআন শিখে, আর যারা কুরআন শেখায় তারা তোমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ।
তালেমে ইলমের প্রথম দায়িত্ব সম্পর্কে মাওলানা হুসাইন আহমদ বলেন, তালেমে ইলম এর প্রথম দায়িত্ব হলো, উত্তম পদ্ধতিতে পড়ালেখা করা, কিতাবের হক আদায় করে পড়ালেখা করা। কারণ যে যত ভাল করে পড়ালেখা করবে সে তত বেশি ইলম অর্জন করতে সক্ষম হবে এবং সে উম্মতের খেদমত ও বেশি করতে পারবে ।
নিজের পড়ালেখার চিন্তার সাথে নিজের কোন সাথী যদি পড়ালেখায় অমনোযোগী হয়ে উঠে তাহলে তাকেও বুঝিয়ে পুণরায় পড়ালেখার প্রতি আগ্রহী করে তুলবে।
তালেবে ইলমের ২য় দায়িত্ব হলো, যে মাদরাসায় পড়ালেখা করবে সে মাদরাসার নিয়ম নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে অর্থ্যাৎ সেগুলি যথাযথ পালন করার মাঝেই তোমার জন্যে কল্যাণ রয়েছে।
তৃতীয় দায়িত্ব হলো, নিজের উস্তাদদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে, মনে-প্রাণে তাদের মুহাব্বত করবে, কখনোই বেয়াদবি করবে না, কারণ যে যত বেশি আদব ওয়ালা হবে তার ভাগ্য তত ভাল, এমনভাবে চলবে যেন মুরুব্বীরা তোমাদের উপর সন্তুষ্ট থাকে, কেউ যেন বেয়াদব না বলতে পারে।
চতুর্থ দায়িত্ব হলো, জীবনে ইলম শেখার সাথে সাথে এই ইলম জাতির কাছে পৌঁছানোর ফিকির করা, ছাত্র থাকার সময় ২৪ ঘন্টার মেহনতে গিয়ে এই মেহনত শেখার চেষ্টা করা, আর ছুটির সময়গুলিতে লম্বা সময় দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতে দেয়ার চেষ্টা করা।
প্রত্যেক রমজানের বন্ধে এক চিল্লা সময় আল্লাহর রাস্তায় সময় দেয়ার চেষ্টা, আর ফারেগ হওয়ার পর এক বছর আল্লাহর রাস্তায় সময় দেয়া।
বিশ্ব ইজতেমা ২০১৮, ২য় পর্ব। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে খাস বয়ান।