সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


পুত্রবধুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ: পলাতক শ্বশুর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় শ্বশুরের বিরুদ্ধে প্রবাসী ছেলের স্ত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, অভিযুক্ত শ্বশুর বর্তমানে পলাতক।

উপজেলার সাহারবাটি গ্রামে এমন ন্যাক্বারজনক ঘটনরা ঘটে। এঘটনায় অভিযুক্ত লম্পট শ্বশুর খবির উদ্দীন (৫৫) পলাতক রয়েছে।

এদিকে শ্বশুরের এমন গর্হিত কাজের প্রতিবাদ করায় ফুফু শ্বাশুড়ি পিটিয়ে আহত করেছে ভিকটিম পুত্রবধূকে। আহত পুত্রবধূ এখন গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

প্রবাসীর স্ত্রী আহত পুত্রবধূ জানান, ২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক তিনটার সময় পুত্রবধু তার পাঁচ বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় দরজা খোলা পেয়ে লস্পট শ্বশুর ঘরে ঢুকে পুত্রবধুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।

পুত্রবধু বলেন, সে সময় ঘরে থাকা নিড়ানি দিয়ে লম্পট শ্বশুরকে আঘাত করার চেষ্টা করলে সেটা কেড়ে নেয়। পরে লাঠি দিয়ে শ্বশুরের মাথায় আঘাত করলে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এবং এক পর্যায়ে ওই পুত্রবধু ঘর থেকে বেরিয়ে ঘরে তালা মেরে দেয়।।

এসময় হৈ চৈ শুরু হলে ভাসুর জিয়ারুল ইসলাম এসে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য চাপ দেয়। এবং ঘরের জানালা ভেঙে লম্পট শ্বশুরকে বের করে দেয়।

ভিকটিম বলেন, আমি ভাসুরসহ তাদের লোকজনের কাছ থেকে বিচার চেয়ে আসছি।  তারা অনুরোধ করেছিলো যেন আমি বাইরের কাউকে না জানায়। তবে আমি তাদের বলেছিলাম এক বাড়িতে আমি ও আমার লম্পট শ্বশুর থাকতে পারবো না।

এরপর গতকাল ১৮ জানুয়ারি দুপুরের দিকে আমার ফুফু শ্বাশুড়ি ফরিদা খাতুন ও মার্জিনা খাতুন আমার বাড়িতে এসে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করে।

আমি তাদের প্রতিবাদ করলে দুজনে মিলে আমাকে চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে দিয়ে লাথি ও কিল ঘুষি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে মারা গেছি ভেবে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, খবির উদ্দীনের বিরুদ্ধে এর আগেও তার আরেক পুত্রবধূসহ গ্রামের কয়েকজনের স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে।

গ্রাম্য শালিস বৈঠকে একাধিকবার জরিমানাও করেছে শালিসকারীরা। এলাকাবাসী অভিযুক্তের বিচারের জোর দাবি জানিয়েছেন।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ