আওয়ার ইসলাম: পদ্মাবত ‘বকোয়াস’! সময় নষ্ট করবেন না ছবিটা দেখে। মুসলিমদের এভাবেই গায়ে বিতর্কের দাগ লেগে থাকা ছবিটি না দেখার পরামর্শ দিলেন ব্যারিস্টার আসাদুদ্দিন ওয়েইসি।
ওয়ারাঙ্গলে ‘সেভ শরিয়া’ শীর্ষক দলীয় প্রচারের অংশ হিসাবে এক জনসভায় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন সভাপতি তথা হায়দরাবাদের এমপি মুসলিমদের, বিশেষত যুবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ছবিটা একেবারে বকোয়াস, দেখে পয়সা, সময় নষ্ট করবেন না। ঘটনাচক্রে যদিও ছবিটা তৈরি হয়েছে এক মুসলিম লেখকের গল্প থেকে।
সেন্সর বোর্ডের নির্দেশে নাম বদলে ‘পদ্মাবতী’ থেকে ‘পদ্মাবত’ হওয়া ছবিটি ঘিরে বিতর্কের শেষ নেই। রানি পদ্মীনীর অসম্মানের অভিযোগ তুলে গোড়া থেকেই ছবিটির বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করেছে রাজপুত সংগঠন কার্নি সেনা সহ নানা গোষ্ঠী। বেশ কিছু দৃশ্য ছেঁটে নাম বদল করার পরও ছবিটির বিরোধিতায় অনড় তারা।
এবার ওয়েইসিও আপত্তি তুললেন। তিনি এও বলেছেন, পদ্মাবত ‘মনহুস’ (অভিশপ্ত), ‘ঘালিজ’ (খারাপ) ছবি। ওটা দেখবেন না, দেখার জন্য ব্যাকুলও হবেন না। দু ঘন্টার ছবিটা দেখার জন্য আপনাদের জন্ম হয়নি। আপনারা পৃথিবীতে এসেছেন সুন্দর জীবন যাপন করতে, ভাল কাজ করতে যা শতকের পর শতক মানুষ মনে রাখবে।
প্রধানমন্ত্রীরও সমালোচনা করেন তিনি। ওয়েইসির বক্তব্য, ‘বকোয়াস’ ছবিটা খতিয়ে দেখে দৃশ্য কাটছাঁটের সুপারিশ করার জন্য নরেন্দ্র মোদী ১২ জনের কমিটি তৈরি করলেন। ১৫৪০ সালে কবি মালিক মহম্মদ জয়েশির ছবির গল্প লিখেছিলেন, যা স্রেফ কল্পনামাত্র, যার কোনও ঐতিহাসিক ভিত্তিই নেই।
তবুও সরকারের ছবিটা নিয়ে এত আগ্রহ। কিন্তু মুসলিম আইন, তিন তালাকের বেলায় মুসলিম নেতাদের সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে মাথাই ঘামাননি প্রধানমন্ত্রী।
রানি পদ্মিনীর ‘মর্যাদা’ রক্ষায় অনড় রাজপুতদের থেকে শিক্ষা নিতেও মুসলিমদের আহ্বান জানান ওয়েইসি। বলেন, ওরা মুসলিমদের একটা নজির দেখাল। ওরা এককাট্টা, ছবিটা দেখাতে দেবে না। কিন্তু মুসলিমরা বিভক্ত। ইসলামি আইন বদলের উদ্যোগের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারে না।
অসুস্থ ভিএইচপি নেতা প্রবীণ তোগাড়িয়াকে গুজরাতের হাসপাতালে কেন কংগ্রেস নেতারা দেখতে গিয়েছেন, প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, তোগাড়িয়া কট্টর ইসলাম-বিরোধী বলে পরিচিত, কী করে তাঁর প্রতি কংগ্রেসের এই সহানুভূতি? এটা ‘দ্বিচারিতা’।
এবিপি
এইচজে