অাওয়ার ইসলাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পানির মান পরীক্ষা করার জন্য পাঁচটি রোবট হাঁস দেশের প্রধান জলাধারে ছেড়ে দিয়েছে সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ। সিঙ্গাপুর শহরে পানি সরবরাহের প্রধান হ্রদে ভেসে বেড়ানো এবং পানির মানের দিকে নজর রাখাই হবে এসব রোবট হাঁসের কাজ। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হবে, পানি পরীক্ষার জন্য এখন থেকে বিজ্ঞানীদের আর জলাধারে যেতে হবে না। খবর চ্যানেল নিউজ এশিয়া ও বিবিসির।
চ্যানেল নিউজ এশিয়ার বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, এ ধরনের পাঁচটি যান্ত্রিক হাঁস ইতোমধ্যেই পানিতে ভাসিয়ে দিয়েছে সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ। এই রোবট হাঁসগুলো নির্মাণ করা হয়েছে এমনভাবে যেন হ্রদের অন্যান্য রাজহাঁসের মধ্যে এগুলো মিশে যেতে পারে। হাঁসের ঝাঁকের সঙ্গে মিশে এই রোবটগুলো ঘুরে বেড়াবে। কিন্তু রোবটের তলায় থাকবে প্রপেলার এবং পানি পরীক্ষার যন্ত্র।
পানি পরীক্ষার পর ওয়্যারলেস প্রযুক্তির মাধ্যমে তৎক্ষণাৎ পরীক্ষার ফলাফল পৌঁছে দেয়া হবে কর্তৃপক্ষের কাছে। এই 'সোয়ানবট'গুলো তৈরি করেছে যে বিজ্ঞানীরা তাদের একজন হলেন সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ম্যানডার চিট্রে। তিনি জানান প্রথমে তারা ছোট পাখির মডেল বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু আকৃতিতে বড় বলে তারা রাজহাঁসের রোবট বানানোর সিদ্ধান্ত নেন।
তিনি আরও জানান, এই রোবটগুলো এমনভাবে বানানো হয়েছে যাতে ছোট নৌকা, ডিঙ্গি বা কায়াকের আঘাত লাগলেও এদের কোন ক্ষতি হবে না।
‘স্মার্ট ওয়াটার অ্যাসেসমেন্ট নেটওয়ার্ক’ (SWAN) নামক এই রোবট রাজহাঁসগুলো এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে যেন হ্রদের অন্যান্য রাজহাঁস ও সেখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে এগুলো মিশে যেতে পারে। হাঁসের ঝাঁকের সাথে মিশে এই রোবটগুলো ঘুরে বেড়াবে। কিন্তু রোবটের তালায় থাকবে প্রপেলার এবং পানি পরীক্ষার যন্ত্র।
পানি পরীক্ষার পর তাৎক্ষনিকভাবে তথ্য তারবিহীন প্রযুক্তির মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হবে। এতে করে আর বিজ্ঞানীদের নৌকায় করে গিয়ে ম্যানুয়ালি পানির নমুনা সংগ্রহ করতে হবে না।
এই সোয়ান বট গুলো তৈরি করেছেন যে বিজ্ঞানীরা তাদের একজন হলেন সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ম্যানডার চিট্রে। তিনি জানান, জলের তলায় এই রোবট রাজহাঁসের অনেক কাজ।
অধ্যাপক ম্যানডার চিট্রে জানান, প্রথমে তারা ছোট পাখির মডেল বেছে নিয়েছিলেন। পরে সিদ্ধান্ত বদলে আকৃতিতে বড় রাজহাঁসের রোবট বানানোর সিদ্ধান্ত নেন।
এই রোবটগুলো এমনভাবে বানানো হয়েছে যাতে ছোট নৌকা, ডিঙ্গি বা কায়াকের আঘাত লাগলেও এদের কোন ক্ষতি হবে না।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রোবট রাজহাঁসগুলো এখন সিংগাপুরের ম্যারিনা, পুংগল, সেরাংগুন, পানদান এবং ক্রাঞ্জি জলাধারে বিচরণ করছে।