শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

বৈধতা পেল উবার-পাঠাও; মানতে হবে ১১ শর্ত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইমলাম: বাধ্যতামূলক লাইসেন্স গ্রহণের বিধান রেখে রাইডশেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা ২০১৭ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। রোববার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এর ফলে সারাদেশে বৈধতা পেল স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ) নির্ভর ট্যাক্সি পরিবহনসেবা উবার-পাঠাও-এর মতো সার্ভিসগুলো।

আজ দুপুরে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে  সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম।

তিনি জানান, রাইডিংশেয়ারিং ব্যবসায় নীতিমালায় মোট ৮টি অনুচ্ছেদ রয়েছে। এর মধ্যে অনুচ্ছেদ ক-তে ১১টি শর্ত দেওয়া হয়েছে। এগুলো মেনে এই সেবা দেওয়া যাবে। তবে এজন্য সেবাদানকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে প্রথমে একটা লাইসেন্স নিতে হবে। পরে সেটা নবায়ন করতে হবে। শর্তগুলো হলো-

১. রাইডশেয়ারিং সার্ভিস পরিচালনার জন্য বিআরটিএ থেকে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট নিতে হবে। মোটরযানের মালিক যিনি তিনি এ সার্টিফিকেট গ্রহণ করবেন।

২. রাইডশেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের টিন ও ভ্যাট সার্টিফিকেট থাকতে হবে। আর যদি উক্ত সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান কোম্পানি হয়, তাহলে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির যে শর্তাবলি, তা মেনে চলতে হবে।

৩. জাতীয় চাহিদা সড়ক নেটওয়ার্কের ক্যাপাসিটি রাইডশেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের অধিক্ষেত্র বিআরটিএ কর্তৃক নির্ধারিত হবে। রাইডশেয়ারিং সার্ভিস এলাকায় নিজস্ব অফিস থাকতে হবে।

৪. কোনো রাইডশেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান রাইডশেয়ারিং সেবার সঙ্গে যুক্ত হতে হলে বিআরটিএ কর্তৃক নির্ধারিত সকল মোটরযান নিজস্বভাবে থাকতে হবে। ডিটিসি অনুমোদিত ঢাকা মহানগরী এলাকার জন্য ১০০টি এবং চট্টগ্রাম মহানগরীর জন্য ৫০টি ও দেশের অন্যান্য মহানগর বা শহর এলাকার জন্য কমপক্ষে ২০টি নিজস্ব বাহন থাকতে হবে।

৫. রাইডশেয়ারিংয়ের আওতায় ব্যক্তিগত মোটরযান, মোটর সাইকেল, মাইক্রোবাস এবং অ্যাম্বুলেন্স অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।

৬. রাইডশেয়ারিংয়ে ব্যবহৃত সকল মোটরযানের সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যেমন রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফিটনেস, ইন্সুরেন্স, এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেটের হালনাগাদ থাকতে হবে।

৭. রাইডশেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট প্রাপ্তির পর রাইডশেয়ারিং সেবাদানকারী ও চালকের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে। যেখানে সকল পক্ষের অধিকার এবং দায়-দায়িত্বের বিষয়গুলো স্পষ্ট করা থাকবে।

৮. নির্ধারিত স্ট্যান্ড বা অনুমোদিত স্থান ব্যতীত যেখানে সেখানে কোনো রাইডশেয়ারিং মোটরযান যাত্রী নিতে রাস্তায় অপেক্ষা করতে পারবে না।

৯. এই নীতিমালার অধীনে একজন মালিক মাত্র একটি মোটরযান রাইডশেয়ারিং সার্ভিস পরিচালনা করতে পারবেন।

১০. ব্যক্তিগত মোটরযান রেজিস্ট্রেশন গ্রহণের পর প্রথম এক বছর তার ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের পর উক্ত মোটরযান রাইডশেয়ারিং এ দিতে পারবেন।

১১. বিআরটিএ’র ওয়েব পোর্টালে রাইডশেয়ারিং এ নিয়োজিত মোটরযানের তালিকা দিতে হবে। সেখানে যাত্রীর অভিযোগ জানানোর সুযোগ থাকতে হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নীতিমালাটির অনুচ্ছেদ ‘গ’ এ বলা হয়েছে, রাইডশেয়ারিং এ নিয়োজিত হতে হলে তাকে অবশ্যই এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট নিতে হবে। এছাড়া কেউ এ ধরনের সেবামূলক কাজ করতে পারবেন না।

এ ধরনের সার্টিফিকেট নিতে উক্ত কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদনের সঙ্গে ১ লাখ টাকা এনলিস্টমেন্ট ফিস বাবদ সরকারি কোষাগারে প্রদান করতে হবে। এর সঙ্গে ট্রেড লাইসেন্স, ই-টিআইএন ও ভ্যাট সার্টিফিকেটসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

তিনি বলেন, এনলিস্টমেন্ট ফিস সরকার প্রয়োজনে কম-বেশি করতে পারবে। লাইসেন্স পেতে আবেদনপত্র পাওয়ার পর বিআরটিএ যাচাই-বাছাই করার পর এক বছরের জন্য এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট প্রদান করবে। এর মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস আগে রিনিউ করতে আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে নবায়ন ফিস বাবাদ প্রতিবছর ১০ হাজার টাকা প্রদান করতে হবে।

নীতিমালার অনুচ্ছেদ ‘ঘ’ তে বলা হয়েছে, রাইডশেয়ারিং এর জন্য এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট একবারে সর্বোচ্চ তিন বছর মেয়াদে প্রদান করা যাবে। মেয়াদ শেষে তা নবায়ন করা যাবে। মোটরযানের জন্য প্রতিবছর রিনিউ ফিস বাবদ ৫০০ টাকা এবং অন্যন্যা মোটরযানের জন্য ১০০০ টাকা ফিস প্রদান করতে হবে।

নীতিমালার ‘ঙ’ অনুচ্ছেদে ভাড়ার হার বিষয়ে বলা হয়েছে, ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস গাইডলাইন ২০১০ অনুসারে ভাড়ার বিষয়টি নির্ধারিত হবে। এর চেয়ে বেশি ভাড়া গ্রহণ করা যাবে না।

এ নীতিমালা লঙ্ঘন করলে তাদের এনলিস্ট সার্টিফিকেট বাতিল বলে গণ্য হবে এবং প্রচলিত আইনের দ্বারা শাস্তি প্রদান করা যাবে বলেও জানান মো. শফিউল আলম।

 

এইচজে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ