সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


কেমুসাস সিলেট সহ বাংলাভাষী মানুষের জন্য বাতিঘর: এম এ মান্নান এমপি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইমদাদ ফয়েজী: অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি বলেন, বাংলাদেশের প্রাচীন সাহিত্য প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ সিলেটের ইতিহাস-ঐতিহ্যের অংশ।

সিলেটের সামগ্রিক ইতিহাসকে পর্যালোচনা করলে এটা নিশ্চিত করে বলা যায়, সাহিত্য সংসদ সিলেট তথা বাংলাভাষী  মানুষের জন্য বাতিঘর। কেমুসাস যেমনি সাহিত্য-সংস্কৃতি ক্ষেত্রে অবদান রাখছে, তেমনি বর্তমান সরকারও শিক্ষা, সাহিত্য-সংস্কৃতির বিকাশে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

নতুন প্রজন্ম যাতে পরিপূর্ণ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়, সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক। আমাদের জীবনে সত্যিকার উন্নয়নের ছোঁয়াকে স্পর্শ করতে শিক্ষা-সংস্কৃতি লালনের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে।

বাংলাদেশের প্রাচীন সাহিত্য প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ আয়োজিত কেমুসাস সাহিত্য সম্মেলন ২০১৮ ও প্রফেসর কবি নৃপেন্দ্রলাল দাশকে নবম কেমুসাস সাহিত্য পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সংসদের সভাপতি প্রবীণ শিক্ষাবিদ প্রফেসর মো. আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে গতকাল শুক্রবার সংসদের শহীদ সোলেমান হলে এই সাহিত্য সম্মেলন ও সাহিত্য পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেমুসাস সাহিত্য সম্মেলন ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন কমিটির সহ সভাপতি আ ন ম শফিকুল হক, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কেমুসাসের সাবেক সভাপতি হারুনুজ্জামান চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মুজিবুর রহমান চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ মানিক, কবি লাভলী চৌধুরী।

সম্মেলনের মূল বিষয় ‘সিলেটের মননশীল সাহিত্য চর্চা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কবি কামাল তৈয়ব।

বিশিষ্ট সাহিত্যিক, ভাষাসৈনিক সৈয়দ মুজতবা আলীকে নিবেদিত সাহিত্য সম্মেলন ও সাহিত্য পুরস্কার অনুষ্ঠানে সৈয়দ মুজতবা আলীর পরিচিতি পাঠ করেন সংসদের সহ সভাপতি সেলিম আউয়াল।

সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রফেসর কবি নৃপেন্দ্রলাল দাশের পরিচিতি পাঠ করেন সংসদের সহ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মবনু।

অনুষ্ঠানের শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সংসদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রফেসর কবি নৃপেন্দ্রলাল দাশের হাতে সংসদের পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন। প্রধান অতিথিকেও শুভেচ্ছা ক্রেস্ট প্রদান করে সম্মানিত করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সংসদের কার্যকরী কমিটির সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী। অনুষ্ঠানের শেষে সিলেটের কবি-সাহিত্যিকদের নিয়ে স্বরচিত কবিতার আসর অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে সাহিত্য সংসদের অগ্রযাত্রায় সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করার জন্য আশ্বাস প্রদান করেন।

পুরস্কারপ্রাপ্তির পর অনুভূতি ব্যক্তকালে প্রফেসর কবি নৃপেন্দ্রলাল দাশ বলেন, আমি সংসদের তৈরী করা একজন মানুষ। ছাত্রজীবন থেকে সংসদে আমার পদচারণা ছিল। সংসদের ঋণ আমি কোনো দিন পরিশোধ করতে পারবো না। আজকের এই পুরস্কার সংসদের প্রতি ঋণ আরো বাড়িয়ে দিলো। এর মাধ্যমে আমার প্রেরণার জায়গাটা আরো শক্তিশালী হলো, বিধায় সাহিত্য চর্চায় মন-প্রাণ আরো একাত্ম হবে।

সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর মো. আব্দুল আজিজ বলেন, সংসদের প্রচার এবং প্রসারে যারা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ অবদান রেখেছেন সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আজকের পুরস্কার প্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব সাহিত্য চর্চায় এক স্বতন্ত্র ভাষা তৈরী করেছেন। আমাদেরকে এ থেকে প্রেরণা নিয়ে শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চায় ভূমিকা রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন মুহিত চৌধুরী, আকরাম সাবিত, শফিকুর রহমান চৌধুরী, চন্দ্র শেখর দেব, নজমুল হক চৌধুরী, মাহমুদ শিকদার, আব্দুল কাদির জীবন, নাইমুল ইসলাম গুলজার, মোহাম্মদ আব্দুল হক, আলেয়া রহমান, আহমেদ জাকির, শামসীর হারুনুর রশীদ, ওয়াহিদুজ্জামান, মুতীউল মুরসালীন, জুলেহা বুলবুল, লুৎফা আহমদ লুৎফা, মাসুদা সিদ্দিকা রুহী, হোসনে আরা কলি।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ