সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


আজ কারামত দিবস!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হাওলাদার জহিরুল ইসলাম: মুফতি লুৎফুর রহমান ফরায়েজি। দেশে একজন আলোচিত তরুণ আলেম।যিনি আহলে হাদিস বা লা-মাযহাবিদের নিয়ে কাজ করেন। দেশের নানা প্রান্তে আহলে হকের পক্ষে বিভিন্ন সময়ে সম্মুখ বাহাসে অংশ গ্রহণ করেন। শীতের মওসুমে তিনি নিয়মিত মাহফিল করে থাকেন। তার প্রায় সব বয়ানই মাযহাব বিষয়ক হয়ে থাকে।

লা-মাযহাবিদের বিপরীতে মাযহাব ভিত্তিক আলোচনা করতে গিয়ে নানা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তেমনি একটি অভিজ্ঞতার কথা আজ সকালে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে প্রকাশ করেন।

তিনি লিখেছেন, “বিগত ৪ঠা ডিসেম্বর ২০১৭ নাটোরের গুরুদাসপুর থানার বৃ পাথারিয়া বাজারে, মাহফিলের শেষে এক লা মাযহাবী প্রতিনিধি মঞ্চে এসে বাহাসের চ্যালেঞ্জ দেন।

সময় ও তারিখ, ৯ই জানুয়ারী ২০১৮। সকাল দশটা। অনুপস্থিত দল পলায়নকারী হিসেবে সাব্যস্ত হবে। সেই সাথে আর কোনদিন উক্ত এলাকায় নিজেদের মতবাদ ছড়াতে পারবে না বলেও মৌখিক অঙ্গিকার হয়।

উপস্থিত হাজারো জনতার সামনে উক্ত বাহাসের ঘোষণা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে।
আমরা তাদের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে পরিস্কার জানিয়েছিলাম, "শেষ নবী মুহাম্মাদ সা. এর উম্মতের কারামত নবীর মুযিজার অংশ। সেই হিসেবে আমি গোনাহগার অধম একটি কারামাতের কথা বলছি, লা মাযহাবী শায়েখেরা বিষ খেতে রাজি হবে, কিন্তু বাহাসে আসতে রাজি হবে না"।

হাজারো তৌহিদী জনতার সামনে আমার দৃপ্ত ঘোষণা কতটুকু সত্য তা আজ সকাল দশটায় বৃ পাথারিয়া এলাকার জনগণ দেখতে পাবে ইনশাআল্লাহ।”

পরে আজ বিকেল তিনটার দিকে মুফতি লুৎফুর রহমান ফরায়েজি এই প্রতিবেদককে মুঠোফোনে জানিয়েছেন, ‘আমরা যথা সময়ে নাটোরের গুরুদাসপুর থানার বৃ পাথারিয়া বাজারে উপস্থিত হই। বিপুল পরিমাণে স্থনীয় আলেমরাও উপস্থিত হন। মানুষের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। আমরা সবাই লা-মাযহাবি ভাইদের অপেক্ষা করতে থাকি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা আর উপস্থিত হয়নি। তখন আমরা স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে তাদের অসারতা তুলে ধরে বহসের সমাপ্তি ঘোষণা  করি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে জানতে পেরেছি, আমরা যাতে আজকের তাদেরই ঘোষিত বহসে না আসতে পারি সে জন্য লা-মাযহাবিরা সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যখন ব্যর্থ হয় তখন তারা তাদের পুরনো অভ্যাস অনুযায়ী পলায়নের পথ বেছে নেয়।

আর তারা ওই থানার ‍ওসির কাছে গিয়ে এ মর্মে অঙ্গীকার করে শেষ রক্ষা করেছে যে, ভবিষ্যতে আর কোন দিন তারা পুরো নাটোর জেলার কোথাও তাদের লা-মাযহাবি কোন আলেমে দাওয়াত করবে না। এবং মাযহাব নিয়ে কোন ধরনের বাড়াবাড়িও করবে না। অঙ্গীকার ভঙ্গ করলে  তারা আইনত দণ্ডনীয় বলে বিবেচিত হবে।’

 

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ