আওয়ার ইসলাম: হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ইউনুছ আলীকে (৩৫) পরিকল্পিতভাবে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
স্বামী নিহত হওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না স্ত্রী শাহেনা আক্তার। কিছু বলতে গেলেই কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। চার সন্তানের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। মায়ের সঙ্গে সুমি আক্তার (১০), সাফিয়া (৮), তানিয়া (৬) ও ফাহমিদ (৪) চারজনকে কাঁদতে দেখা গেছে।
শাহেনা আক্তার কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার স্বামীকে গত ৩১ ডিসেম্বর রাতে ফোন করে একটি বিচারে নেওয়ার নামে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রাতে অপরিচিত একজন ফোন দিয়ে জানায় পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আমার স্বামী নিহত হয়েছে। আমি তাৎক্ষণিক আমার ভাসুরকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। তখন আমি আমার স্বামীকে দেখতে চাইলে পুলিশ দেখতে দেয়নি। উল্টো বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। পুলিশের এমন ব্যবহার দেখে আমার ভাসুর আমাকে নিয়ে চলে আসেন।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী বলেন, ‘আমাদের এলাকার অত্যন্ত ভালো এবং সমাজসেবক লোক ছিলেন ইউনুছ আলী। এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে ২০১৩ সালের ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য পৌরসভা নির্বাচনে এলাকাবাসীর পছন্দের প্রার্থী ইউনুছ আলী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। দলমত নির্বিশেষ সকলে তার জন্য কাজ করে বিপুল ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।’
জেলা যুবদল নেতা সুমন জানান, ইউনুছ আলী একেবারে তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন কর্মী ছিলেন। ছাত্রদল থেকে উঠ এসে বর্তমানে চুনারুঘাট পৌর যুবদলের যুগ্ম আহব্বায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১১টি রাজনৈতিক মামলার আসামি ছিলেন তিনি। প্রায় এক মাস আগে সবগুলো মামলায় জামিন পেয়ে মুক্তি পেয়েছিল ইউনুছ আলী।
নিহতের স্ত্রী শাহেনা আক্তার জানান, কয়েক মাস পূর্বে চুনারুঘাট থানা পুলিশ ইউনুছ আলীর বাড়িতে তল্লাশি চালায়। এ সময় সেখানে তাকে না পেয়ে ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর ও ইউনুছ আলীর স্ত্রী শাহেনা আক্তার ও তার সন্তানদেরকে মারধর করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় শাহেনাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এইচজে