শাহনূর শাহীন: ইসলামী খেলাফতের অন্যতম খলিফা হযরত ওমর ইবনের আব্দুল আয়িয রহ. ছিলেন, বিদ্যা, বুদ্ধি, দয়াদ্রতা, ন্যায়পরায়ণ, খোদাভীরু ও একনিষ্ঠতায় অনন্য। দীনের সামান্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যাপারেও তিনি ছিলেন চৌকস প্রহরী।
দীনের উপকার হয় এমন কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে তিনি ভিন্ন কোনো চাওয়া পাওয়াকে একদমই পরোয়া করতেন না।
আমিরুল মুমিনীন হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আযিয রহ. একবার মিশরের গভর্নর হাইয়ান ইবনে শুরাইহের নিকট একটি পত্র প্রেরণ করেন। তাতে তিনি গভর্নর শুরাইহকে উদ্দেশ্য করে লিখেন, ‘কেউ যদি বলে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নাই, মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল এবং সে নামাজ আদায় করে তাহলে তার কর মওকুফ।
জবাবে হাইয়ান লেখেন, ‘আমিরুল মুমিনীন এমনটি করলে সকল মানুষ কর থেকে বাঁচার জন্য মুসলমান হয়ে যাবে। তখন এক পয়সাও কর আদায় করতে পারবো না’।
গভর্নরের চিঠি পেয়ে ওমর ইবনে আব্দুল আযিয রহ. একজন দূত পাঠিয়ে তাকে বলেন, তুমি মিশরে গিয়ে হাইয়ান ইবনে শুরাইহের মাথায় মৃদুভাবে ৩০ টি বেত্রাঘাত করবে।
দূতের মাধ্যমে একটি পত্রও পাঠান ওমর ইবনে আব্দুল আযিয রহ.। পত্রে তিনি লেখেন, ‘তোমার শাস্তি দেখো, আবারো বলছি, যে মুসলমান হয়ে যাবে তার কর মওকুফ করে দেবে। কারণ আমি চাই সবাই মুসলমান হয়ে যাক যাতে তুমি এক পয়সাও কর আদায় করতে না পারো’।
দূতের মাধ্যমে পাঠানো পত্রে ওমর ইবনে আব্দুল আযিয রহ. গভর্নর শুরাইহ’র প্রতি আফসোস করে বলেন, হাইয়ান আল্লাহ তাআলা তো মুহাম্মদ সা. কে দাঈ হিসেবেই প্রেরণ করেছিলেন; কোনো কর আদায়কারী হিসেব নয়।
ওমর ইবনে আব্দুল আযিয রহ. এর জীবনাদর্শ বর্তমান সময়ের শাসক-শোসক সর্বমহলের মানুষের জন্য অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত। আল্লাহ তাআলা আমাদের জীবনে তার উত্তম গুনাবলি প্রতিফলিত করার তাওফিক দান করুক। আমিন।
এসএস/