সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


দৈনন্দিন জীবনের প্রচলিত ৫ ভুল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

১. একটি নাজায়েয প্রচলন : চুল বিক্রি করা 

অনেক এলাকায় দেখা যায় ফেরীওয়ালারা বাড়ি বাড়ি ঘুরে ঘুরে মহিলাদের জমানো চুল ক্রয় করে। আর মহিলারাও অজ্ঞতাবশত চুল বিক্রি করেন।  এটি একটি নাজায়েয কাজ, এ থেকে বেঁচে থাকা আবশ্যক।

মানুষের কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, কোনো অংশ বিক্রি করা জায়েয নয়। মানুষকে যেমন আল্লাহ তাআলা সম্মানিত বানিয়েছেন তেমনিভাবে মানুষের সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এমনকি চুল, নখ ইত্যাদি কর্তিত অংশও সম্মানিত এবং এগুলো বিক্রয়যোগ্য কোনো বস্তু নয়। সুতরাং এগুলো বিক্রি করা যাবে না। সম্ভব হলে দাফন করে দেয়া উত্তম।

২. একটি ভুল ধারণা : পায়ে মেহেদী দেওয়া কি নিষেধ?

অনেকে মনে করেন মেয়েদের জন্যও পায়ে মেহেদী দেওয়া নিষেধ। এ ধারণা ঠিক নয়।
প্রথম কথা হল, পুরুষদের জন্য সাজ-সজ্জার উদ্দেশ্যে মেহেদী লাগানো নিষেধ। তবে চুল-দাড়ি পেকে গেলে তাতে মেহেদী লাগানোর অনুমতি আছে। আর মেয়েদের জন্য হাতে পায়ে মেহেদী লাগানোতে দোষের কিছু নেই।

৩. একটি ভুল রসম : তিনবার কবুল না বললে কি বিবাহ সহীহ হবে না?

কোনো কোনো এলাকায় এ রসম চালু আছে যে, বিবাহের ইজাব পেশ করার পর পাত্রকে তিনবার কবুল বলতে হবে। তারা মনে করে তিনবার কবুল না বললে বিবাহ সহীহ হবে না। এটি একটি মনগড়া রসম মাত্র। এটি পরিহার করা জরুরি। এজাতীয় মনগড়া বিষয়ের কারণে অনেক সময় বড় ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হয়।

শরীয়তের দৃষ্টিতে ইজাবের (প্রস্তাবের) পর সাক্ষীদের শুনিয়ে একবার কবুল করলেই বিবাহ হয়ে যাবে। (ফাতাওয়া শামী ৩/৯; ফাতাওয়া আলমগিরী ১/৩৭০)

৪. একটি ভুল ধারণা : শুকরের নাম মুখে নিলে কি চল্লিশদিন মুখ নাপাক থাকে?

অনেক মানুষকে বলতে শোনা যায়, ‘শুকর’-এর নাম উচ্চারণ করলে চল্লিশদিন মুখ নাপাক থাকে; শুকুর না বলে ‘খিনযীর’ বলতে হবে। একথাটি একেবারেই অমূলক।

শুকরকে আল্লাহ তাআলা হারাম করেছেন, আর হারাম বস্তুর প্রতি ঘৃণা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাই বলে শুকরের নাম মুখে উচ্চারণ করলেও মুখ নাপাক হয়ে যাবে -একথার কোনো ভিত্তি নেই।

এরপর শুকর বাংলা শব্দ, এর আরবী হল খিনযীর। একই প্রাণীর নাম বাংলায় উচ্চারণ করলে মুখ নাপাক হবে আর আরবীতে উচ্চারণ করলে নাপাক হবে না এরই বা কী অর্থ? আল্লাহ আমাদের অমূলক কথা বলা থেকে হেফাযত করুন।

৫.  একটি ভুল ধারণা : সন্ধ্যার বাতি

অনেকের ধারণা, মাগরীবের আযান দিলে দোকান পাট বা গাড়িতে বাতি জ্বালাতে হয় নইলে ব্যবসায় ক্ষতি হয়। এটাকে ‘সন্ধ্যার বাতি’ বলে। এ ধরণা ঠিক নয়।

সন্ধ্যা হলে প্রয়োজনের খাতিরে এমনিতেই দোকান পাট বা গাড়িতে বাতি জ্বালাতে হয় এর সাথে লাভ ক্ষতির কী সম্পর্ক? লাভ ক্ষতি তো হয় আল্লাহর পক্ষ হতে বাতি; জ্বালা না জ্বালার এখানে কোনো দখল নেই। প্রয়োজন হলে বাতি জ্বালাবে না হলে জ্বালাবে না।

মারকাযুদ দাওয়া আল-ইসলামিয়া-এর আমিনুত তালিম মাওলানা আব্দুল মালেক রচিত প্রচলিত ভুল থেকে নেওয়া। 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ