আওয়ার ইসলাম : রংপুরের ঠাকুরপাড়ার হিন্দু পল্লীতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গ্রেপ্তার প্রধান রংপুর জেলা পরিষদের প্রকৌশলী ফজলার রহমানকে ৭ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে ।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আরিফুল ইসলাম তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন ।
গত শুক্রবার রাতে ঢাকার শ্যামলী এলাকা থেকে প্রকৌশলী ফজলার রহমানকে গ্রেফতার করে আইন-শৃঙ্খলা-বাহিনীর সদস্যরা । পরে গংগাচড়া থানার এসআই মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি দল তাকে ঢাকা থেকে রংপুরে নিয়ে আসেন।
এ ঘটনায় করা পৃথক দুই মামলার এই আসামি ফজলার রহমান রংপুর জেলা পরিষদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী।
কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ফেরদৌস আহমেদ জানান, ফজলারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রোববার কামরুল হাসানের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের হেফাজতের (রিমান্ড) আবেদন করা হয়। বুধবার ওই আবেদনের শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
গঙ্গচড়া থানায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা মিস্টার আলী জানান, গঙ্গচড়া থানার মামলায় রোববার বিচারিক হাকিম আরিফুল ইসলামের আদালতে ১০ দিনে রিমান্ড আবেদন করেন তিনি।
“বুধবার বিচারিক হাকিম আরিফুল ইসলামের আদালতে ফজলারকে হাজির করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।”
ঠাকুরপাড়ার পাশের গ্রাম মমিনপুরে ফজলার রহমানের বাড়ি। হামলায় পাঁচ ইন্ধনদাতার একজন বলে এসআই মিস্টারের ভাষ্য।
টিটু রায় নামের এক যুবকের ফেসবুকে ধর্মীয় অবমানাকর পোস্ট শেয়ার করার ঘটনায় গত ১০ নভেম্বর রংপুরের পাগলাপীরের ঠাকুরপাড়ায় বিক্ষোভ হয় । পরে টিটু রায় ও ঠাকুরপাড়ার হিন্দু বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে । এ সময় বিক্ষোভকারী-পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত ও ২০ জন আহত হয় ।
এ ঘটনায় গত ১০ নভেম্বর রাতে গঙ্গাচড়া থানার এসআই রেজাউল ইসলাম ও কোতোয়ালি থানার এসআই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন । দুই মামলার একটিতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয় । ঠাকুরপাড়ায় তাণ্ডবের ঘটনায় প্রকৌশলী ফজলার রহমানের নাম আসার পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে চলে যান ।