বৃদ্ধাশ্রম
সায়ীদ উসমান
এই বাড়ি এই ঘর এই সংসার
তিলে তিলে সাজানো সে বাগান আমার
এ বাগানে ফুল ছিল ঘ্রাণও ছিলো তার
বিমোহিত হতো ঘ্রাণে হৃদয় সবার।
আজো আছে সেই ফুল নেই শুধু ঘ্রাণ
সে ফুলের কাঁটাতেই ক্ষত এই প্রাণ
গর্ভের সন্তানও হলো বেঈমান
বৃদ্ধাশ্রমই তাই ঠিকানা আমার।
স্বামী ছিলো ছেলে ছিলো আজ কেউ নাই
ঘর ছিলো বাড়ি ছিলো আজ নেই ঠাঁই
তবু খোকা সুখি হোক সর্বদা চাই
সাথী হয়ে থেকো প্রভু আমার খোকার।
বাবা
একান্ত চৌধুরী রানা
দেয়ালে টানানো ছবিটা
আর কেহ নয়, হারিয়ে যাওয়া বাবা,
হঠাৎ চোখে পড়তেই, গুমরে কাঁদে মনটা,
ছোট্টবেলায় হাতটি ধরে বাবা যেত বাজারে
কাঁধে চড়ে যেতাম আমি পাগলা বাবার মেলাতে,
ঈদের গরু কিনতে গিয়ে বলতো আমায় চলরে্ বেটা
খুশীতে মন নাচতো দোলায়, দিন কাটে হায় বাবাকে ছাড়া।
বাবার কথা মনে পড়লেই, নাড়া দেয় এই হৃদয়টা
এখন বুঝি বাবার কদর, বৃথাই বুঝি জীবনটা,
বাবা তুমি কেমন আছো, অন্ধকার ঐ কবরটায়
জানতে ইচ্ছে করে অনেক, তোমার স্মৃতি শুধুই কাঁদায়।
বাবা আপনজনা
শাহনূর শাহীন
ঘাম ঝড়ানো পরিশ্রমে
আনেন খাদ্য কণা
আর কেহ নন তিনি আমার
বাবা আপনজনা।
নিত্য সকাল ভোর বেলাতে
যায় ছুটে যায় মাঠে
আহার বুনেন ক্ষেত খামারে
ফসলি তল্লাটে।
সন্ধ্যা সাঁঝে ফিরেন ঘরে
রৌদ্র মাখা দেহ
স্বার্থ বিহীন এমন মানুষ
ধরাতে নেই কেহ।
বাবার ছবি বুকে আঁকা
বাবা মনের কাবা
জগত মাঝে নেই তুলনা
বাবা আমার বাবা।
এসএস/