শাহনূর শাহীন: ২৬ বছর বয়সী মায়ের গর্ভে জন্ম নেয়া সদ্য প্রসুত মেয়ের বয়স ২৫ বছর। অবিশ্বাস্য হলেও চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশভিলে।
২৬ বছরের টিনা আর ৩৩ বছরের বেনঞ্জামিন গিবসন দম্পতি সদ্য জন্ম নেয়া এই বিস্ময় বালিকার মা-বা। মূলত, দীর্ঘদিন ধরে সংরক্ষিত ভ্রুণ থেকে সন্তান নেয়ায় মা মেয়ের বয়সের এই অসম পার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, বেঞ্জামিনের সিস্টিক ফাইব্রোসিস থাকার কারণে টিনা আর বেঞ্জামিন সন্তান ধারণে অক্ষম ছিলেন। ফলে তারা ছিলেন নিঃসন্তান। তারা অন্যের সন্তান লালন পলনের কাজ করতেন।
টিনার বাবার কাছ থেকে তারা প্রথম ভ্রুণ দত্তক নেয়ার কথা জানতে পারে। প্রথমে তারা বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিলেও সন্তান না পাওয়ার হতাশা থেকে বাঁচতে ‘নক্সভিলের ন্যাশনাল এমব্রায়ো ডোনেশন সেন্টারে’ যোগাযোগ করেন।
‘নক্সভিলের ন্যাশনাল এমব্রায়ো ডোনেশন সেন্টার’ কর্তৃপক্ষ প্রথমে ‘ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন’ বা কৃত্রিম উপায়ে ভ্রূণ ধারণের জন্য টিনা সক্ষম কিনা সেটা পারীক্ষা করে দেখে ইতিবাচক ফল পেলে টিনাকে সেন্টারে সংরক্ষিত ভ্রুণ থেকে একটি বেঁছে নিতে বলা হয়।
ভ্রুণ বেছে নিতে বলা হলে টিনা-বেঞ্জামিন দম্পতি প্রায় ২৫ বছরের পুরনো একটি ভ্রুণ বেছে নেন। সংরক্ষিত ভ্রুণ নিয়ে চলতি বছরের গত মার্চ মাসে টিনা গর্ভবতী হন। এবং নভেম্বরের ২৫ তারিখে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।
ইউনিভার্সিটি অব টেনেসি প্রেস্টন মেডিকেল লাইব্রেরির খবর অনুযায়ী, ইম্মাই হল ভ্রুণ থেকে জন্ম নেওয়া প্রথম শিশু।
‘নক্সভিলের ন্যাশনাল এমব্রায়ো ডোনেশন সেন্টার’ সুত্রে জানা যায়, ভ্রূণটির জন্ম হয়েছিল ১৯৯২ সালের অক্টোবর মাসে। প্রায় ২৪ বছরে ধরে সেটি সংরক্ষণ করে আসছিলো ‘নক্সভিলের ন্যাশনাল এমব্রায়ো ডোনেশন সেন্টার’ কর্তৃপক্ষ।
সদ্য প্রসুত এই শিশুটির নাম রাখা হয়েছে ইম্মা ওরেন। জন্মের সময় তার ওজন ছিলো ছয় পাউন্ড আট আউন্স, এবং উচ্চতা ছিলো ২০ ইঞ্চি।
ভ্রুণ দত্তক নেয়ার মাধ্যমে বাবা হতে পেরে ভীষণ খুশি বেঞ্জামিন বলেন, মেয়েকে দেখতে যেন একদম তারই মতো এটা অবশ্যই একটি আশ্চর্য ঘটনা। এতে সে আনন্দিত। সুত্র- ডেইলি মেইল।
এসএস/