আমার মায়ের নোলক
শামসুদ্দীন সাদী
আমার মায়ের নাকের নোলক
এই মাটিতে পোঁতা
বাবার হাতের তসবি দানা
হারিয়ে গেছে সোঁতা।
আমার বোনের খেলার পুতুল
রান্না করার চুলো
ছোট্ট ভাইয়ে লড়তে গেছে
উড়ছে পায়ের ধুলো।
আটকে গেছে ভাই ফিরেনি
যুদ্ধে যাবার পরে
শোক কাটেনি মায়ের মনে
ছোট্ট ছেলের তরে।
আমার মায়ের নোলক গেছে
শহীদ হলো ভাই
লালসবুজের এই পতাকা
এই পতাকা সাঁই।
১৬ এসে বললো
কুমকুম খাতুন
১৬ এসে বললো কানে
নাও বিজয়ের ঘ্রাণ
বাংলা আমার জন্মভূমি
বিজয় আমার প্রাণ।
আমি এলে তোমরা সবে
মুক্ত উদার মনে
শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করো
প্রতি জনেজনে।
আমি এলেই সব জনতার
উপচে পরে ভিড়,
আমার জন্যই তোমরা সবে
পেলে সুখের নীড়।
১৬ আমি বিজয় আমি
বাঙ্গালিদের গর্ব,
লক্ষ্য রেখো আমায় যেনো
করে না কেউ খর্ব।
ক্ষুদে যোদ্ধা
আরিফুর রহমান সেলিম
মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনে
বসে মায়ের কুলে
খোকন সোনাও নিতে চায়
অস্ত্র হাতে তুলে।
মাকে বলে দিবে মাগো
একটি মেশিন গান
এক নিমেষেই নেব কেড়ে
শত্রু সেনার প্রাণ।
খোকন সোনার সাহস দেখে
গর্বে ভরে বুক
ধন্য আমার বাংলা মা তাই
খুললো এবার মুখ।
বললো খোকন অস্ত্র ছেড়ে
কলম হাতে ধরো
বিশ্ব মাঝে মাতৃভূমির
মাথা উচু করো।
বিজয় দিবস
ওয়াছিক ইবনে হাফিজ
বাংলা মোদের বিজয় ধ্বনি
বাংলা অহংকার
বাংলা মোদের মাতৃভূমি
বাংলাই সংসার।
তোমার পরেই মাথা রাখি
তোমার পরেই বুক
দেখলে তোমায় দূর হয়ে যায়
শত ক্লান্তির দুঃখ।
লক্ষ শহীদ, লক্ষ গাজী
তোমারই সন্তান
খোদা তাঁদের দিয়েছে জবান
বাংলায় গায় গান।
সুখও তুমি, দুখও তুমি
সবকালেরই সাথী
গোলাপ,জবা, বকুল ফুলের
তাইতো মালা গাঁথি।
কত সাধনা! শত ভাবনা
তোমার পানেই ছোটে
তাইতো তোমার গানগুলো আজ
সব বাঙালির ঠোঁটে।
সুখ হাসি আর তৃপ্ত এ প্রাণ
তোমায় স্বাধীন পেয়ে
সুখপাখি আর রংধনু আজ
গোটা বাংলায় ছেয়ে।
বাংলায় প্রাণ, খোদা দিয়েছেন
যুদ্ধদীপ্ত সাহস
বাংলার আকাশ উদ্দেলিত
আজ প্রিয় বিজয় দিবস।
বীরের জাতি
ইকবাল মাহমুদ
কালের চাকা ঘুরে ঘুরে
আসে বিজয় মাস
ঠোঁটের ফাঁকে আলোচনা
দীর্ঘ ইতিহাস ৷
হঠাৎ করে পাক বাহিনী
হামলা করে খুব
বীরের জাতি গর্জে ওঠে
কেউ থাকেনি চুপ ৷
রক্ত সাগর পাড়ি দিয়ে
শেষে এলো জয়
সবার বুকে শান্তি এলো
নেই কোন আর ভয় ৷
ধন্য ওরা
খুরশিদ আলম
নয়টি মাস ওই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে
দেশকে স্বধীন করলো যারা
পাক-হানাদার বাহিনীদের ব্যর্থ করে
স্বার্থকতা আনলো তারা।
বুকের তাজা রক্ত দিয়ে নতুন করে
রঙিন স্বদেশ গড়লো যারা
জুলুমবাজির রুদ্ধ বাধার প্রাচীর হয়ে
জীবনবাজি রাখলো তারা।
স্বধীনতার স্বপ্ন নিয়ে ঐক্য হয়ে
অস্ত্র হাতে ধরলো যারা,
যাদের ত্যাগে লাল-সবুজের কেতনখানি
রাখলো ধরে উচ্চ চূড়া।
একটি সাগড় রক্তক্ষরণ করলো যারা
হয়নি কভু ক্ষান্ত ওরা
তাদের লাগি বুক ফুলিয়ে গর্ব করি
ধন্য সবাই ধন্য ওরা।