মাওলানা যুবায়ের আহমাদ
আমি একজন সামান্য বক্তা। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিডিউল প্রায় পূর্ণ। অধিকাংশ দিনই একাধিক প্রোগ্রাম। আমি হাদিয়া চুক্তি করি না; এডভান্স চাই না, পরেও চাই না। কিন্তু কিছু ঘটনায় আয়োজকদের প্রতি অনেক কষ্ট পেয়েছি।
ঘটনা-১ : ভৈরবের এক লোক আমার মসজিদে এসে জুমা পড়ে দাওয়াত দিয়েছিলেন গত অক্টোবরে। অনুরোধ করেছিল সেদিন যেন অন্য কোনো প্রোগ্রাম না নিই। এরই মধ্যে কয়েকটি বড় বড় প্রোগ্রামের রিকোয়েস্ট এলে আমি ওই কর্তৃপক্ষকে ফোন করে একাধিকবার জেনেছি প্রোগ্রাম হবে কি-না। বলেছে অবশ্যই হবে।
আমি যেন দ্বিতীয় কোনো মাহফিল না নিই। প্রোগ্রামের দিন সকালেও বলেছে প্রোগ্রাম হবে। মাহফইে আমি গাড়ি নিয়ে বের হলাম জহুরের পর। অর্ধেক পথ যাওয়ার পর সেই লোকটি ফোন করে মাফ চাইতে লাগল। বলল মাহফিল হবে না। তারপর ওদের ফোন বন্ধ। ফিরে এলাম। নিজ পকেট থেকে গাড়ি ভাড়া দিলাম ২২০০ টাকা।
ঘটনা -২ : গেল বছর পাকুন্দিয়াতে ওয়াজ শুনে এক মাহফিল কর্তৃপক্ষ দাওয়াত করেছিল। এ দিনেও কয়েকটা মাহফিল এসেছিল। নিইনি। গত ১ মাস আগেও যখন আমার এক বন্ধু অন্য একটা বিশাল মাহফিল রাখার ব্যাপারে ফোন করলে আমি ওই কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাই যে, মাহফিল ঠিক আছে কি-না।
বলল, অবশ্যই ঠিক থাকবে। মাহফিলের আগের দিন জানাল যে, তারা তারিখ চেঞ্জ করেছে। আমার নাম্বার হারিয়ে ফেলেছিল বলে আমাকে জানাতে পারেনি।
অথচ তারা আগে জানালে অন্যরা সুযোগ নিতে পারত। অগ্রিম না নেয়ার কারণেই কি আমার সঙ্গে এহেন আচরণ? এদের কারণেই বক্তারা কঠোর হতে বাধ্য হয়।
খতিব; বায়তুশ শরফ জামে মসজিদ সাইনবোর্ড গাজীপুর