আওয়ার ইসলাম: সোস্যাল মিডিয়ার কারণে যে পড়ালেখা হচ্ছে না এটা যেমন সত্য, সোস্যাল মিডিয়াকে আমরা বাদও দিতে পারব না, এটাও সত্য। এটাকে সেই ভাবনা থেকে দেখতে হবে, আগেই বললে হবে না যে, সোস্যাল মিডিয়ার কারণে পড়াশোনা হচ্ছে না। অনুমান নির্ভর কোনো কথার ভিত্তি নেই।
এটার উপরে কারও কোনো গবেষণা নেই। কেউ গবেষণা করে বলেনি যে, সোস্যাল মিডিয়ার জন্য ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনা করছে না। সবাই অনুমান নির্ভর কথা বলে। কিন্তু আমরা যেটা দেখতে পাচ্ছি, আমাদের দেশের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিবছর পড়াশোনায় ভালো করছে।
প্রতিবছর তাদের রেজাল্ট ভালো হচ্ছে। তবে এটা ঠিক, সোস্যাল মিডিয়ার দুইটি দিক আছে, একটি ভালো, একটি মন্দ। এখন আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা এটার কোন দিকটা নিচ্ছে, এটা দেখতে হবে। এটা নিয়ে গবেষণা করতে হবে।
যদি তারা সোস্যাল মিডিয়ার মন্দ দিকটি নিয়ে থাকে, তাদের এটা থেকে বের করে আনতে হবে। কিন্তু সোস্যাল মিডিয়াকে কোনোভাবে বাদ দেওয়া যাবে না। দেশে এখন প্রায় আটকোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। স্যোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে দেশ-বিদেশে যোগাযোগের কাজটি সহজ হয়েছে।
সোস্যাল মিডিয়া একটি ছুরির মতো। ছুরি দিয়ে সার্জনরা অপরাশেন করেন, ছুরি না থাকলে সার্জন অপারেশন করতে পারবে না। আর যদি ছুরিটি কোনো ডাকাতের হাতে পড়ে, তাহলে সে খুন করে বা কোনো দুর্ঘটনা ঘটায়।
এখন যারা সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার করে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের জন্য অন্যদের সুযোগ সুবিধা নষ্ট করা যাবে না। দিন দিন দেশ ডিজিটাল হচ্ছে। মানুষ প্রযুক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ প্রযুক্তি নির্ভর হচ্ছে। সবাই ইন্টারনেট, সোস্যাল মিডিয়ার আওতায়।
এখন আমরা কিভাবে কিছু অপব্যবহারকারীর জন্য পুরো দেশের মানুষের ক্ষতি করব? তাই সঠিক ভাবে যাচাই করে, যারা অপব্যবহার করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
রাশেদা কে চৌধুরী : সাবেক উপদেষ্টা , তত্ত্বাবধায়ক সরকার