আওয়ার ইসলাম: পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস উপলক্ষ্যে শিশুকিশোর ও তরুণদের মধ্যে সিরাতের চর্চা বৃদ্ধি করতে আওয়ার ইসলামের উদ্যোগ নবীজিকে চিঠি লিখে জিতে নাও পুরস্কার প্রতিযোগিতার সময় বাড়ানো হয়েছে।
১ ডিসেম্বর প্রতিযোগিতার শেষ সময় হলেও শিক্ষার্থীদের অনুরোধে প্রতিযোগিতার সময় বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে ১০ দিন। আগামী ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ প্রতিযোগিতার চিঠি লেখা যাবে।
আমাদের শিশু-কিশোরদের মনে কীভাবে চিত্রায়িত হজরত মুহাম্মদ সা.। শিশুদের কল্পনার রাজ্যের সব কথায় উঠে আসবে –‘নবীজিকে লেখা চিঠি’তে।
মনের সব মত- অভিমত, আবেগ-আয়েশ, যন্ত্রণা, ব্যথা সবই জায়গা পাবে এই পত্রে। একটি পত্র-একজন বাদশাহর কাছে! যিনি আমার হৃদয়রাজ্যের বাদশাহ।দু’জাহানের বাদশাহ!!
নির্বাচিত পত্রমালা প্রকাশিত হবে গণমাধ্যমে। ছাপাও হবে নবীজিকে লেখা চিঠির গ্রন্থখানা।
শিশু-কিশোরদের মাঝে মহানবী সা. এর প্রেম ভালোবাসা জাগিয়ে তোলা, রাসুলে আরাবি সা. এর চিন্তা চেতনা এবং মানবিক আদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার জন্যই আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকমের আয়োজন ‘নবীজিকে চিঠি লিখে জিতে নাও পুরস্কার’।
এ মোবারক আয়োজনের গর্বিত অংশিদার বাংলাদেশের শিক্ষা উন্নয়নে অনন্য উপমা শাহীন শিক্ষা পরিবার, ই-কমার্স বিজনেসে আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক মেগা বুকশপ রকমারি, অভিজাত প্রকাশনী প্রতিষ্ঠান মাকতাবাতুল ইসলাম ও মাদানী কুতুবখানা।
এছাড়াও এ আয়োজনের অন্যতম সঙ্গী আধুনিক ও ইসলামি শিক্ষা বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান রাজধানীর মাদরাসাতুল হিকমা।
সময় পুরো নভেম্বর মাস। ১ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বরে মধ্যে জমা দেয়া যাবে চিঠি। অনুর্ধ্ব পাঁচশ শব্দে লিখতে হবে।
মাদরাসা স্কুল কলেজসহ সকল শিক্ষার্থীর জন্য প্রতিযোগিতা উন্মুক্ত। তবে বয়সের সীমা বাইশ পেরিয়ে গেলে তারা প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন না।
৩ জন বিচারক যাচাই বাছাই শেষে সেরা চিঠি নির্ধারণ করবেন। বিচারকদের মতামতই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হবে।
১ম পুরস্কার ১০ হাজার টাকার বই। ২য় পুরস্কার ৫ হাজার টাকার বই। ৩য় পুরস্কার ৩ হাজার টাকার বই। এছাড়াও বিজয়ীর জন্য রয়েছে ঢাকায় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্মাননা, সনদ ও পুরস্কার। মনোনীত আরও কয়েক জনের জন্য থাকবে ৫০০ টাকার করে বই পুরস্কার!
নির্বাচিত চিঠিগুলো নিয়ে মানসম্মত একটি বইও প্রকাশ করবে আওয়ার ইসলাম।
তাহলে আর বসে থাকা কেন! নবীজি সা. কে নিয়ে লিখতে বসে যাই জীবনের সেরা চিঠি। তবে মনে রাখতে হবে মহানবী সা. শান ও মর্যাদার যথাযথ মূল্যায়ন যেন থাকে লেখায়।
চিঠিতে নাম, পিতার নাম, ঠিকানা, শ্রেণি ও স্কুল/মাদরাসা, অভিভাবকের মোবাইল নম্বর দিতে যেনো ভুলে না যাই।
চিঠি পাঠানোর ঠিকানা
ইমেল: [email protected]
অথবা পোস্ট অফিস বা সরাসরি হাতে পৌঁছাতে পারেন।
ঠিকানা: ১২২/১ উত্তর মুগদা, (বাশার টাওয়ারের পেছনে) ঢাকা ১২১৩।
ফোন যোগাযোগ: ০১৭১৯ ০২ ৬৯ ৮০, ০১৯১৭-৩৭ ৫২ ৯৯