শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

সফল উদ্যোক্তা হতে চাইলে মেনে চলুন এই নববী আদর্শগুলো

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাওলানা মিরাজ রহমান
আওয়ার ইসলাম

বাহ্যিকভাবে সফল মুসলিম উদ্যোক্তা অন্য কারও থেকে ভিন্ন নয়। কিন্তু তাদের অনেক গুণ রয়েছে যা তাদেরকে অন্যদের থেকে আলাদা করে দেয়। তারা মূলত আল্লাহকে স্মরণ রেখে ব্যবসা করে। যেমন আল্লাহপাক কুরআনে তাদের কথা উল্লেখ করেছেন, যারা ব্যবসায় ও বেচাকেনার ব্যস্ততার মধ্যেও আল্লাহর স্মরণ এবং নামাজ কায়েম ও যাকাত আদায় করা থেকে গাফিল হয়ে যায় না।

তারা সেদিনকে ভয় করতে থাকে যেদিন হৃদয় বিপর্যস্ত ও দৃষ্টি পাথর হয়ে যাবার উপক্রম হবে। (সূরা- নুর, আয়াত-৩৭) যারা নিজেদেরকে মুসলিম হিসেবে দাবি করেন এবং নিজেকে সৎ রেখে একজন সফল উদ্যোক্তা হতে চায় তাদরে জন্য গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি টিপস উল্লেখ করা হলো।

১. ঈমান অনুযায়ী আপনার ব্যবসাকে বড় করুন: একজন মুসলিম উদ্যোক্তা হিসেবে আপনার উৎপাদনশীলতার সাথে সাথে আপনার ঈমানের বিষয়টাও খিয়াল রাখুন। কেননা সাফল্য পাওয়ার বিষয়টা মূলত আল্লাহপাকের পক্ষ থেকে।

যে প্রকৃত পক্ষে ইসলামকে অনুসরণ করতে চায় তার জন্য ইসলামে, বস্তুগত ও আধ্যাত্মিক জগতের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। আপনার প্রাথমিক ধর্মীয় দায়িত্ব পালন করার পর, আপনার সময়ের সর্বাধিক সময় হালালভাবে অর্থ উপার্জনের পিছনে ব্যয় করুন।

আপনার সিদ্ধান্তগুলো যতটা সম্ভব কুরআন ও সুন্নাহের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ করে নেওয়ার চেষ্টা করুন। আশা করা যায় আপনি আপনার ব্যবসায় সফল হবেন।

২. আপনার দায়িত্ব আল্লাহর কাছে অর্পণ করুন: আপনি যদি সত্যিই সফলতা চান তাহলে আপনার দায়িত্ব আল্লাহর কাছে অর্পণ করুন। এর অর্থ হলো আপনি ধর্মীয় বিধানগুলো বাদ দিয়ে অন্য কিছু করতে যাবে না।

যখন নামাজের সময় হয় তখন আপনি সকল কাজ ফেলে রেখে নামাজে যান। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন, যারা ব্যবসায় ও বেচাকেনার ব্যস্ততার মধ্যেও আল্লাহর স্মরণ এবং নামাজ কায়েম ও যাকাত আদায় করা থেকে গাফিল হয়ে যায় না। তারা সেদিনকে ভয় করতে থাকে যেদিন হৃদয় বিপর্যস্ত ও দৃষ্টি পাথর হয়ে যাবার উপক্রম হবে। (সুরা- নুর, আয়াত-৩৭)

তিনি আরও ইরশাদ করেছেন, এরপর তারা যখন তাদের (ইদ্দতের) সময়ের সমাপ্তির পর্যায়ে পৌঁছবে তখন হয় তাদেরকে ভালোভাবে (বিবাহ বন্ধনে ) আবদ্ধ রাখো নয় ভালভাবেই তাদের থেকে আলাদা হয়ে যাও। এমন দুই ব্যক্তিকে সাক্ষী বানাও তোমাদের মধ্যে যারা ন্যায়বান। হে সাক্ষীরা, আল্লাহর জন্য সঠিকভাবে সাক্ষ্য দাও।

যারা আল্লাহ ও আখেরাতের দিনের প্রতি ঈমান পোষণ করে  তাদের জন্য উপদেশ হিসেবে এসব কথা বলা হচ্ছে। যে ব্যক্তিই আল্লাহকে ভয় করে চলবে আল্লাহ তার জন্য কঠিন অবস্থা থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় সৃষ্টি করে দেবেন। এবং এমন পন্থায় তাকে রিযিক দেবেন যা সে কল্পনাও করতে পারে না। যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর নির্ভর করে আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ সম্পূর্ণ করে থাকেন। আল্লাহ প্রতিটি জিনিসের জন্য একটা মাত্রা ঠিক করে রেখেছেন। (সূরা- তালাক, আয়াত-২-৩)

৩. আপনার মুসলিম পরিচয়কে গর্বের সাথে দিন: নিজেকে সৎ রেখে ব্যবসা করুন। কখনো নিজের পরিচয় গোপন করার চেষ্টা করবেন না। আল্লাহর রহমতে আপনি মুসলিম হয়েছেন। এটা আপনার প্রতি আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। সুতরাং ব্যবসা করতে গিয়ে আপনি আপনার এই পরিচয়কে গোপন করবেন না।

৪. সময় সম্পর্কে সচেতন হোন: পৃথিবীতে যারা বড় হয়েছে তারা তাদের সময় সম্পর্কে সচেতন ছিলেন। কারণ সময়ের সঠিক ব্যবহার করা ছাড়া কেউ বড় হতে পারেনি। আপনি সময়কে ভাগ করে নিন কতটুক সময় কোনো কাজে ব্যায় করবেন। তাছাড়া সময়ের সঠিক ব্যবহার করলে আপনি কাজে বরকতও পাবেন।

৫. সর্বোচ্চ মান বজায় রাখুন: যদি আপনি একজন সফল মুসলিম উদ্যোক্তা হতে চান তবে আপনার নিজের, পণের এবং আপনার কর্মচারীদের জন্য সর্বোচ্চ মান নির্ধারণ করতে হবে। সর্বোচ্চ মান থাকার অর্থ হলো আপনি সবসময় যা করতে চান তা অর্জন করার চেষ্টা করেন  এবং বিশ্বমানের পণ্য এবং চমৎকার গ্রাহক সেবা প্রদান করে থাকেন।

সূত্র: প্রিয় ডট.কম


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ