আবরার আবদুল্লাহ
বিশেষ প্রতিবেদক
সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া পবিত্র কুরআনের কোনো অংশ মুখস্ত করানো, ধর্মীয় বিষয়ে কোনো রকম আলোচনা এবং পাঠদান করালে জেল-জরিমানার বিধান রেখে আইন করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
দেশটির ফেডারেল ন্যাশনাল কাউন্সিল গত মঙ্গলবার এ খসড়া আইন অনুমোদন করে।
এ আইনের বলা হয়, দেশটির ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া কেউ অন্য কাউকে ধর্মীয় বিষয়ে নিয়োগ, ধর্মীয় গ্রন্থাগার চালু এবং কোনোখানে দান কিংবা ত্রাণ সংগ্রহ করতে পারবে না।
খসড়া আইন লঙ্ঘন করলে শাস্তি হিসেবে ৫ হাজার দিরহাম বা ৩ মাস জেল বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে।
ফেডারেল ন্যাশনাল কাউন্সিলের মুখপাত্র ড. আমাল আল কুবাইসি বলেন, এ আইনের লক্ষ্য মসজিদগুলোর কার্যক্রমকে পর্যবেক্ষণের মধ্যে নিয়ে আসা।
কোনো মসজিদ বা ইমাম যদি সরকারের অনুমোদন ব্যতীত কোনো জনসমাগমের আয়োজন করে বা তাদের মাঝে বক্তব্য রাখে তাদের ৩ মাস পর্যন্ত জেল হবে।
ড. আমাল এ সময় প্রবাসী শ্রমিকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় প্রচার-প্রচারণার ব্যাপারে সতর্ক করেন।
আইন প্রণয়নের সময় আমিরাতের মসজিদের ব্যাপারও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়েছে। সেখানকার মসজিদের ব্যাপারেও আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
কেবল যোগ্যতাসম্পন্ন লোকেরাই মসজিদের কাজে নিয়োজিত থাকবেন। মসজিদে কর্মরত অবস্থায় অনৈতিক কর্মকাণ্ড কিংবা নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে সংযুক্ত হলে, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়লে, ফতোয়া এবং কুরআন শিক্ষা দিলে বেতন বন্ধ হয়ে যাবে।
সাথেসাথে ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার দিরহাম পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। এছাড়াও, তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়ার বিধান রয়েছে।
এছাড়া মসজিদে ভিক্ষা করলে পাঁচ হাজার দিরহাম জরিমানা এবং মসজিদের ইমামকে দোয়া করানোর জন্য দাওয়াত দিলেও একই দণ্ড হতে পারে। যদি কোনো ইমাম কারও জন্য দোয়া করে দেন, তাহলে তার বেতন বন্ধ হয়ে যাবে।
এছাড়া সব মসজিদে কর্মরত সকলের বেতন সরকারিভাবে প্রদানের বিধান রাখার ব্যাপারেও কথা উঠেছে। তবে আইন পাসের এ ব্যাপারেও তেমন কিছু উল্লেখ রাখা হয়নি।
আরব আমিরাত সরকার মুসলিম ব্রাদারহুডসহ কিছু সংগঠনকে কালো তালিকাভূক্ত করে দেশের নাগরিক এসব সংগঠনের ব্যাপারে সতর্ক করেছে।
সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর, খালিজ টাইমস- আরএম