ওদের সাথে দেখা হলে
ওদের ছিলো বাড়ি
ওদের ছিলো খেলাধুলো
দস্যিপনা, আড়ি
ওদের
চোখ ভরা আজ জল
আজকে ওদের অশ্রু বানে
মানবতা তল হয়েছে তল।
ওরা মিয়ানমারের ছেলে
ওরা বিশ্ব মায়ের ছেলে
আদিগন্ত আকাশ তলে
ওদের আছে ভাগ
ওদের সাথে দেখা হলে
রাগ করো না রাগ।
ওদের উদাস উদাস চোখে
স্বপ্ন হাজার ভরা
ওদের অযুত খুনসুটিও
আছে আদর স্মৃতি
আজকে ওরা গৃহহারা
ডাগর চোখে ভীতি
ওরা মিয়ানমারের মেয়ে
ওরা আমার মায়ের মেয়ে।
ওরা, পরতো চোখে কাজল
আজ মাখছে দেখো তা জল
বাঁধতো চুলে বেণী
আমার বোনের মতই তারা
সানজিদা বা এনি।
ওদের সাথে দেখা হলে রাগ করো না মোটে
ঠাণ্ডা জলের একপেয়ালা দাও এগিয়ে ঠোটে
ওদের উদোম বুকে দিও 'লাল-সবুজের শাড়ি
বোনের মতই করতে পারো ওদের সাথে আড়ি।
ওই বাবুটা তোমার ভাই
খেলাধুলোয় মন বসে না, নেই তাড়া আজ শঙ্ক সাজার;
খোকন সোনার মলিন বদন, খোকন সোনার প্রশ্ন হাজার।
ওই শিশুরা পথের ধারে করছে কী মা খালি গায়ে?
এমন করে মানুষগুলো যাচ্ছে কোথায় পায়ে পায়ে?
ওরা কী মা যাচ্ছে হেঁটে গল্পরাজের অচিনপুরে?
সে পথ কী মা তেপান্তরে ভিন দেশে বা অনেক দূরে?
ওই বুড়োরা খাবার নিয়ে করছে কেন কাড়াকাড়ি?
ওদের কী মা নেই বাড়ি ঘর কলসি কিবা খাবার হাঁড়ি?
ওরা কী মা স্বজনহারা, ওদের কী মা কেউ বেঁচে নেই?
খোকন সোনা খুব পেরেশান এই বুঝি এই হারাবে খেই!
বৃষ্টিঝরা মাঠে শুয়ে ওই বাবুটা কাঁদছে একী!
বাবু তোমার হয় কিছু মা? তুমিও ঠিক কাঁদছো দেখি !
ওই শিশুটা ওই বাবুটা তোমারই ভাই খুব আদরের
জালিমসেনা মারছে ওদের, হচ্ছে কাবাব একবাদড়ের!
বাপরে শোনো ওদের বাড়ি মিয়ানমারের আরাকানে
ওরা মুমিন তাইতো এখন মারছে তাদের প্রাণে প্রাণে
দিচ্ছে পুড়ে বসত বাড়ি, হাঁটছে তারা অজানাতে;
আর কতো মার খাবে বলো নরখেকোদের এই হানাতে।
কেঁদো না বাপ, মন ভেঙ্গো না, তুমি হবে যোদ্ধা বড়
কাঁপবে দেখো জালিমশাহি, কাটবে ওদের অঙ্গ ধড়ও!