আওয়ার ইসলাম: নিম্নচাপের প্রভাবে টানা দু'দিনের অবিরাম বৃষ্টির ফলে ঢাকার অধিকাংশ এলাকায় আজ পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
এমনকি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ও কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় পানি জমে ছিল দীর্ঘক্ষণ।
এছাড়া ধানমণ্ডি ২৭ নম্বর সড়ক, মতিঝিল, মিরপুর, বাড্ডা ও রামপুরাসহ প্রায় সব এলাকাতেই কোথাও হাটুপানি, কোথাও কোমরপানি দেখা গেছে।
যদিও এর আগে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি জলাবদ্ধতার হতো যে শান্তিনগরে সেটির সমাধানের দাবি করেছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন।
কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে কয়েক ঘন্টার বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা হচ্ছে এমন এলাকার সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে।
ঢাকা, বৃষ্টিছবির কপিরাইটফোকাস বাংলা
এবার শুক্র ও শনিবারের বৃষ্টিতে কয়েকটি এলাকার রাস্তায় নৌাকা এমনকি ভেলা পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে।
এই যে ঢাকার জলাবদ্ধতা ক্রমে বেড়েই চলেছে। কিন্তু এটি নিরসন করা যাচ্ছে না কেন? সমস্যা কোথায়?
জবাবে বুয়েটের আরবান অ্যান্ড রিজিওনাল প্লানিং বিভাগ শিক্ষক ড. সারওয়ার জাহান বলেন জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে অপরিকল্পিত উন্নয়ন হচেছ। একই সাথে প্রাকৃতিক ড্রেনেজ সিস্টেম অর্থাৎ খাল বিল পুকুড় যা ছিলো তা ভরাট হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, "পানি তো যেতে হবে কিন্তু সে সুযোগ তৈরি করতে হবে। প্রাকৃতিক সিস্টেম যেহেতু ধ্বংস হয়ে গেছে তাই কৃত্রিম সুযোগ তৈরি করতে হবে পানি যাওয়ার"।
সবগুলো সংস্থা কি একযোগে কাজ করছে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালোভাবে করার জন্য ? এমন প্রশ্নের জবাবে ড. জাহান বলেন ওয়াসা, সিটি কর্পোরেশন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড একসাথে কাজ করতে হবে পানি নষ্কাশনের জন্য কিন্তু তাদের মধ্যে কোন সমন্বয় নেই।
তার মতে পুরো শহর ভেঙ্গে নতুন কিছু করা যাবেনা তাই ড্রেনেজ সিস্টেম যাতে কাজ করে তা দেখার পাশাপাশি নতুন ড্রেনেজ সিস্টেম মাটির উপরে ও নীচে বাড়িয়ে সেটির ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।
সূত্র: বিবিসিবাংলা