আবরার আবদুল্লাহ
বিশেষ প্রতিবেদক
ইরাকের তেল সমৃদ্ধ কিরকুকের দখল নিয়েছে ইরাকের সরকারি বাহিনী। ১৬ অক্টোর ইসলামিক স্টেট যোদ্ধাদের হাত থেকে তারা উদ্ধার করে শহরটি। পুরো শহরের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতেই। শহরের প্রধান প্রধান সামরিক স্থাপনা, শহরের বাইরে বৃহৎ
বিগত কয়েক বছরের সংঘাতে কিরকুক শহর ধ্বংস্তুপে পরিণত হলেও তবুও শঙ্কা দূর হচ্ছে না ইরাকি বাহিনীর। কিরকুকের কুর্দি শিয়া আরবদের সঙ্গে নতুন সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে সেখানে। কোনো কোনো কুর্দি গোষ্ঠি তাদের নেতাকে অস্ত্রধারণের আহবানও জানিয়েছে ইতিমধ্যে।
কিরকুকের তেল সম্পদ ও বহু নৃ-তাত্ত্বিক গোষ্ঠির উপস্থিতির জন্য ঐতিসাহিককাল থেকে তা সংঘাতময়। সর্বশেষ ২০১৪ সালে ইরাকি বাহিনী কিরকুকের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ হারায়।
কুর্দি বাহিনী কোথাও কোথাও চেকপয়েন্ট স্থাপন করেছে। ফলে শহরে এখনো জনজীবন স্বাভাবিক হয় নি এবং মানুষ নিরাপত্তাবোধ করছে না। উত্তর কিরকুকের পাহাড়ে আশ্রয় নিয়েছে।
বিশ্লেষকগণ মনে করছেন, স্বাধীনতার প্রশ্নে কুর্দি গণভোট সংঘাতকে অভিসম্ভাবী করে তুলেছে। তবে কুর্দি নেতারা এখনো এ ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু বলে নি।
অবশ্য আমেরিকা ও ইরান কিরকুকে নতুন সংঘাতের ব্যাপারে হুশিয়ারি উচ্চারণে করেছে। আমেরিকা বলেছে, কিরকুকে নতুন কোনো সংঘাত আমেরিকা মেনে নিবে না।
তবে অনেক বিশ্লেষক মনে করছে, আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে অস্থিতিশীল করতে পুরাতন বন্ধু কুর্দিদের অস্ত্রধারণে প্রলুব্ধ করতে পারে।
দ্য ইকোনোমিস্ট অবলম্বনে