ইকবাল আজিজ
টেকনাফ প্রতিনিধি
মৃত্যুর পর হয়তো তারা বলবেন, বার্মার পশুদের হাত থেকে পালিয়ে খারাপ হয়নি। অন্তত লাশটা মাটি পেয়েছে। পুড়ে ছাই হয়নি। খায়নি শেয়াল কুকুরে।
আজ টেকনাফে সাগর থেকে আরও চার রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, যারা দুদিন আগে সাগরে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ছিলেন বলে ধারণা পুলিশের। এই নিয়ে লাশ পাওয়া গেল ২৯ জনের। ৬০/৬৫ জন যাত্রী নিয়ে রোববার রাতে ছেড়েছিল ট্রলারটি।
টেকনাফ থানার ওসি মো. মাইনউদ্দিন খান আওয়ার ইসলামকে বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গোপসাগরের মিঠাপানির ছড়া এলাকা থেকে দুই শিশু ও দুই রোহিঙ্গা নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একই এলাকা থেকে দুই শিশু ও পাঁচ রোহিঙ্গা নারীর লাশ উদ্ধার করা হয় বলে তিনি জানান।
তিনি আরও জানান, রোববার রাত ১০টার দিকে নাফ নদীর গোলারচর পয়েন্টে নৌকাডুবির পর এ নিয়ে মোট ২৯ রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করা হলো। ধারণা করা হচ্ছে সবাই একই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে। আরও কেউ নিখোঁজ আছে কিনা পুলিশ খুঁজে দেখছে।
গতকাল বিকেলে টেকনাফের কয়েকটি স্থানে ২৯ জনের লাশ জানাজা শেষে দাফন করা হয়।
গত ২৫ অগাস্ট রাখাইনে সেনাদের তথাকথিত ক্লিয়ারেন্স অপারেশন শুরু হলে রাজ্যের পূর্বাঞ্চলের রোহিঙ্গা মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামগুলো পুড়িয়ে দেয়া হয়। লাখ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে আসে বাংলাদেশে।
নতুন করে এ পর্যন্ত পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর আগেও লাখ চারেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে রয়েছে।
জাতিসংঘ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এ অভিযানকে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ বলে বর্ণনা করেছে। পালিয়ে আসার পথে রোহিঙ্গারা এখনো নৌকাডুবির ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে ৷
২১ দফা দাবিতে উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গাদের ফেস্টুন