আওয়ার ইসলাম: ভারতের কেন্দ্রীয় হজ নীতিকে দেশের বিশিষ্ট আলেমরা তীব্র সমালোচনা করেছেন। বিশেষ করে মাহরাম পুরুষ ছাড়াই নারীদের হজে যাওয়ার অনুমতিতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন ওলামারা।
মাহরাম পুরুষ ছাড়াই নারীদের হজে যাওয়া প্রসঙ্গে জমিয়তে উলামার মহারাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বলেছেন, নারী পুরুষের সমান অধিকার চাইলে, তারা ভাগভাগি করে সাড়ে চার মাস করে গর্ভধারণ করেন না কেন?
নারীদের একা হজে যাওয়া শরীয়া বিরোধী কাজ এবং তা ইসলাম সম্মত নয় বলে মন্তব্য করেছেন আলা হজরত দরগাহের মাওলানা মুহাম্মদ সেলিম নূরী। তিনি বলেন, ‘নারীরা একা হজে গেলে তাদের গুনাহ হবে। মাহরাম পুরুষ ছাড়া নারীরা কোনোভাবেই হজে যেতে পারেন না।’
মাদ্রাসা জামিয়া হোসাইনিয়ার মুফতি তারিক কাশেমি বলেন, ‘আমি কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাখভিকে জিজ্ঞেস করতে চাই কে ফতোয়া দিয়েছেন নারীরা মাহরাম পুরুষ ছাড়াই হজে যেতে পারবেন? কে এ কথা বলেছেন? প্রত্যেক মুসলিমের দৃষ্টিভঙ্গি ইসলামী অনুযায়ী হয়ে থাকে। এ সম্পর্কে যে বিবৃতি দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুল। এটা কখনোই সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘এটা ওনার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি। এরমধ্যে ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি আছে এ কথা আমরা কোনোভাবেই মানতে পারি না।’
সাবেক সচিব আফজল আমানুল্লাহর নেতৃত্বাধীন এক কমিটি হজ নীতি নিয়ে খসড়া তৈরি করে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন। এতে মাহরাম পুরুষ সঙ্গী ছাড়াই ৪৫ বছরের বেশি বয়সী নারীরা দলবদ্ধভাবে হজে যেতে পারবেন বলে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে ওই দলে চার বা তার বেশি নারী থাকতে হবে।
কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৮ সালের হজযাত্রা নয়া নীতি অনুযায়ী করতে চায় বলে গত শনিবার কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি জানিয়েছেন।
এরপরেই বিভিন্ন মহল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া হজ নীতির সমালোচনা করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবিত হজনীতিতে ভর্তুকি তুলে দিয়ে হজের খরচ কমাতে হজ যাত্রীদের বিমানের পরিবর্তে জাহাজে পাঠানোর প্রস্তাবসহ হজযাত্রার স্থান ২১ থেকে কমিয়ে ৯টি স্থান করার কথা বলা হয়েছে। -পার্সটুডে