মুজাহিদুল ইসলাম : সেজদার মৃত্যু অনেকেই কামনা করেন। কিন্তু ক’জনার ভাগ্যে মেলে? আল্লাহ তায়ালার সর্বোচ্চ আনুগত্যে মধ্যেই তার সান্নিধ্যে চলে যাওয়া কম ভাগ্যের নয়। এমন একজন সামেহ আয়মান।
মিসরের পূর্বপ্রদেশ ইব্রাহিমিয়্যাতের এক মসজিদে মুসল্লিরা হঠাৎ এক ব্যক্তিকে দীর্ঘ সময় সেজদায় দেখতে পায়। তারা মনে করে, খোদা-ভিতির তীব্রতার কারণে হয়তো দীর্ঘ সময় সেজদা করছেন। জামাত শেষে একজন নামাজ শেষের কথা জানাতে গিয়ে তাকে মৃত পায়।
এ-ভাবেই সেজদাতে আল-আযহারের মাধ্যমিকের ছাত্র, ১৮ বছর বয়সী ‘সামেহ আয়মান’ পৃথিবী ত্যাগ করেন।
মৃত ছাত্রের পিতা বলেন, সুন্দর মৃত্যু- জন্য আল্লাহর প্রশংসা কিন্ত বিচ্ছেদ তো বড় কঠিন।
তিনি জানান, সামেহ শৈশবেই কুরআন হেফজ করে। সে তার পুরো সময় হয় মসজিদে না-হয় আল্লাহর সন্তষ্টিমূলক কর্মকাণ্ডে কাটাত, সে ছিল সচ্ছ ও পবিত্র হৃদয়ের ছেলে।
তিনি আরো বলেন, আমার ছেলের জীবনের শেষ সময়গুলো জানান দিচ্ছিল যে, তার মৃত্যু সন্নিকটস্থ। তার মৃত্যু এর রাতে আমাদের সাথে তার সর্বশেষ কথা হয় যে, আমি তাকে বলি,' তুমি যদি মেডিকেলে পড়ার মতো মার্কস পরীক্ষায় আনতে পারো, তবে তোমাকে একটা গাড়ি দিবো, তার উত্তর ছিলো, আমার মেডিকেলে ভর্তি হওয়া লাগবে না, আমি যাবো জান্নাতে! '
আয়মানের পিতা জানায়, মাসের শুরুতে তাকে প্রাইভেট ফি দিতে গেলে, তা না নিয়ে আমাকেই শিক্ষকের কাছে গিয়ে দিতে বলে।
অনুরূপ স্কুলের খরচ দিতে গেলে বলতো, ' আমার স্কুল, পড়ালেখার দরকার নেই ; আমি যাবো দুনিয়া ছেড়ে।
সূত্র : শার্ক টাইমস