হামিম আরিফ: তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান ইরান সফরে গেছেন। এই নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে চালছে নানা রকম আলোচনা।
বুধবার একটি উচ্চ পদস্থ প্রতিনিধি দল নিয়ে এরদোগান ইরান সফরে যান। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এ সফরকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন।
তবে বিশ্ব পরিস্থির এ মুহূর্তে তার সফরটি ঠিক কী কারণে সেটি স্পষ্ট নয়। ধারণা করা হচ্ছে, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও দুই দেশের মধ্যে আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।
ইরানে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের এটা তৃতীয় সফর। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান স্পর্শকাতর পরিস্থিতিতে এরদোগানের এবারের সফরকে ব্যাপক গুরুত্ব হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকে ইরান ও তুরস্ক দীর্ঘকাল ধরে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু তাদের এ প্রতিদ্বন্দ্বীতাকে ইতিবাচক হিসেবেও দেখা যেতে পারে। দু'দেশই বিরোধ এড়িয়ে অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে পারে।
তবে কেউ কেউ ধারণা করছেন, সম্প্রতি ইরাক থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চলা কুর্দিস্তানের বিষয়ে আলোচনা গুরুত্ব পাবে দুই দেশের বৈঠকের মধ্যে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আর্থ-রাজনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে ইরান ও তুরস্কের পারস্পরিক সহযোগিতা মধ্যপ্রাচ্যের ঘটনাবলীতেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। কৌশলগত সহযোগিতার ক্ষেত্রে এ দু'দেশ তিনটি বিষয়ের প্রতি মনোনিবেশ করেছে। প্রথমত, আইএস বিরোধী যুদ্ধ, দ্বিতীয়ত, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা এবং তৃতীয়ত, দ্বিপক্ষী অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিস্তার। এ তিনটি ক্ষেত্রে ইরান ও তুরস্কের অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে।