আওয়ার ইসলাম: ইসলামী হকার্স শ্রমিক আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, খুনি সুচি যে খুটির জোরে নাচছে সে খুটিকে উপড়ে ফেলতে হবে। সুচি আমেরিকা ও ভারতের জোরে মুসলিম গণহত্যায় মেতে উঠেছে। ভারত ও আমেরিকা সুচিকে রক্ষা করতে পারবে না।
তারা বলেন, আরাকানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করে রোহিঙ্গাদের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়ন করতে হবে। রোহিঙ্গা মুসলমানদের গণহত্যাকারী সামরিক জান্তা ও অং সান সুচির আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার এবং রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার দিয়ে স্বদেশে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
রোববার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে ইসলামী হকার্স শ্রমিক আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে মিয়ানমারে মুসলিম গণহত্যা বন্ধের দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মোহাম্মদ কামাল হোসাইনের সভাপতিত্বে সেক্রেটারী মুহাম্মদ জাকির খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফখরুল ইসলাম।
প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ ইমাম হোসেন ভুঁইয়া। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ জাকির হোসেন, মাওলানা আলমগীর হোসেন তালুকদার, মহানগর পূর্ব সভাপতি সৈয়দ ফিরোজ, শহিদুল ইসলাম, রেদওয়ান, একরাম হোসেন প্রমুখ।
মাওলানা ফখরুল ইসলাম বলেন, রাখাইন রাজ্যে নিরীহ রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর যে নির্মম গণহত্যা চলছে তা ইতিহাসের সকল বর্বরতাকে হার মানিয়েছে। বিশ্বব্যাপী এই গণহত্যার ধিক্কারের পরেও মিয়ানমারের সামরিক জান্তা তাদের নিষ্ঠুরতা বন্ধ করেনি, তাই রোহিঙ্গা মুসলমানদের রক্ষায় সরকারকে ব্যাপক কুটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত এবং মুসলিম বিশ্বকে নিয়ে আরাকান স্বাধীন করার জন্য সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
মুহাম্মদ ইমাম হোসেন ভুঁইয়া বলেন, মিয়ানমারে যখন মুসলমানদের রক্ত ঝড়ছে অবিরাম, তখন মিয়ানমার থেকে চাল কিনার অর্থই হলো কাটা গায়ে নুনের ছিটা দেয়া এবং মুসলমানদের রক্ত পান করানো। অবিলম্বে অথর্ব মন্ত্রী কামরুল ইসলামের অপসারণ দাবি করছি।
সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ কামাল হোসাইন বলেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের দু:খ দুর্দশা সহ্য করার মত নয়। আরাকানকে স্বাধীন করে তাদের সমস্যার সমাধান করতে হবে।
তিনি আরব বিশ্বের নিরবতার সমালোচনা করে বলেন, আরববিশ্বকে রোহিঙ্গা মুসলমানদের পক্ষে অবস্থান নিতে হবে। মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধ হলে বৌদ্ধ সন্ত্রাসীরা পালানোর পথ খোঁজে পাবে না।