রোকন রাইয়ান: নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিমদের জন্য বিপুল পরিমাণ ত্রাণ নিয়ে কক্সবাজার গেলেন মজলিসে দাওয়াতুল হকের আমীর, গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদের খতীব ও জামিয়া মাদানিয়া যাত্রাবাড়ীর প্রিন্সিপাল মহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসান।
সকাল ১০ টায় ঢাকার শাহজালাল আন্তার্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি ফ্লাইটে তিনি কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন। আজ সারাদিন উখিয়ার তিনটি ক্যাম্পে ত্রাণ বিতরণসহ একটি মসজিদ উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে আল্লামা মাহমুদুল হাসান আওয়ার ইসলামকে বলেন, মজলুম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আমাদের মেহমান। ওদের জন্য নুসরত করা আমাদের ঈমানি দায়িত্ব। এ কারণে আমরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা ত্রাণ কার্যক্রমের পাশাপাশি এই মজলুম মানুষগুলো যেন তাদের ভূমি ও অধিকার ফিরে পায় সে জন্য দোয়া করবো। আল্লাহ পাকের সাহায্য ছাড়া ওদের জন্য আর কোনো পথ খোলা নেই।
কক্সবাজারে হুজুরের সফরসঙ্গী হিসেবে যাচ্ছেন কাওরান বাজার আম্বরশাহ জামে মসজিদের খতীব মাওলানা মাজহারুল ইসলাম। এছাড়াও ত্রাণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে করতে গতকাল উখিয়া গিয়েছেন শাইখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের প্রিন্সিপাল মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ।
মোবাইলে আওয়ার ইসলামকে মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ জানান, আল্লামা মাহমুদুল হাসান আজ উখিয়ার কুতুপালং ও ঠ্যাংখালীর দুটি ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে ত্রাণ বিতরণ করবেন। এছাড়াও ঠ্যাংখালীতে আসর নামাজ পড়ার মাধ্যমে একটি মসজিদ উদ্বোধন করা হবে।
তিনি বলেন, সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে এবং সহযোগিতার জন্যই আমরা সুষ্ঠুভাবে ত্রাণ বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছি। গতকালই এখানে কয়েক হাজার তাবু বণ্টন, বাশ দিয়ে ঘর বানিয়ে দেয়া, কযেক হাজার লুঙ্গি, নারী ও শিশুদের কাপড় বিতরণ করা হয়েছে। কাজগুলো ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকবে ইনশাল্লাহ।
কক্সবাজারে ত্রাণ কাজে সহযোগিতায় আছেন, মাওলানা মুসলিম উদ্দীন, মাওলানা আতাউল করিম ও মাওলানা আবদুস সাত্তারসহ আরও অনেকে।
আল্লামা মাহমুদুল হাসানের তত্ত্বাবধানে নতুন ক্যাম্পগুলোতে বেশ কিছু মসজিদ, মক্তব নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও কয়েক হাজার টয়লেট ও প্রয়োজনীয় গোসলখানা নির্মাণও করা হবে বলে জানা গেছে।
ত্রাণকাজের সময় ঠ্যাংখালীর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দারুত তাহজিব মাদরাসায় আরাকান থেকে নতুন আসা আলেমদের সঙ্গে বৈঠকও করবেন আল্লামা মাহমুদুল হাসানসহ সফরসঙ্গী আলেমগণ। তাদের দুঃখ দুর্দশা শোনার পাশাপাশি তাদের জন্য স্থায়ী উদ্যোগও নেয়া হবে বলে জানা গেছে।
মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ জানান, গতকাল উখিয়ার পালংখালীতে নতুন ১২০০ রোহিঙ্গা এসেছে। যারা এখনো ক্যাম্পে উঠতে পারেনি। সময় পেলে আমরা আজ তাদেরও দেখতে যাবো এবং তাদের সার্বিক ব্যবস্থা করবো ইনশাল্লাহ।
আরও পড়ুন: ‘কাতার আল নূর সেন্টার বাংলাদেশিদের নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে’