আওয়ার ইসলাম: মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বলছে, তারা রাখাইন প্রদেশে একটি গণকবর খুঁজে পেয়েছে, যেখানে শুধু হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মৃতদেহ রয়েছে।
বার্মা সেনাবাহিনী বলছে, রোহিঙ্গা মুসলমানরা এইসব হিন্দুদের হত্যা করেছে।
তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, গণহত্যা চালিয়ে বিশ্বসম্প্রদায়ের তোপের মুখে পড়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নিজেদের অপরাধ ঢাকতে রোহিঙ্গাদের উপর দোষ চাপাচ্ছে।
রাখাইনে চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকার কারণে সেনাবাহিনীর এই অভিযোগ যাচাই করা সম্ভব হয়নি। রাখাইনে গত পঁচিশে অগাস্ট থেকে সেনাবাহিনীর তথাকথিত ক্লিয়ারেন্স অপারেশন শুরু হবার পর এখন পর্যন্ত চার লাখ ত্রিশ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে পোস্ট করা এক বিবৃতি থেকে যানা যাচ্ছে, উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন প্রদেশের একটি গ্রাম থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা একটি গণকবর খুঁড়ে মোট আটাশটি মৃতদেহ বের করে এনেছে, এদের সবাই হিন্দু ধর্মাবলম্বী, বেশীরভাগই মহিলা।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বিবিসিকে বলেছেন, নির্মম হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ এবং বাড়িঘর আগুনে জ্বালিয়ে দেয়ার কারণে রোহিঙ্গারা আতঙ্ক আর উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছে। রাখাইনে চলমান সহিংসতাকে ‘জাতিগত নিধন’ বলে বর্ণনা করেছে জাতিসংঘ। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে মিয়ানমারের সরকার।
সূত্র: বিবিসি